মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতি এবং পদক্ষেপের জেরে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে তাঁর চীন নীতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
ট্রাম্প চীনের উপর আরও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ।
সোমবার বিশ্বজুড়ে শেয়ার বাজারে বড় দরপতন হয়, যার মূল কারণ ছিল ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত। তিনি এই পদক্ষেপকে ‘ওষুধ’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
তবে, এর প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাণিজ্য আলোচনার প্রস্তাব দিলেও ট্রাম্প তাতে রাজি হননি। ইইউ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা গাড়ি ও শিল্প পণ্যের উপর শুল্কমুক্ত বাণিজ্যের প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়।
এদিকে, মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট একটি ১৮ শতকের পুরনো আইন ব্যবহার করে ভেনেজুয়েলায় সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্যদের ফেরত পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে। যদিও আদালত এই বিষয়ে কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে।
অন্যদিকে, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে সরাসরি আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি তেহরানকে সতর্ক করে বলেছেন, চুক্তি লঙ্ঘন করলে তার ফল ভালো হবে না।
একই সময়ে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যেখানে গাজা এবং শুল্ক সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও, ভ্যাকসিন বিরোধী প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যক্তির বিতর্কিত মন্তব্য এবং একজন রিপাবলিকান সিনেটরের সাংবাদিকদের হত্যার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য নিয়েও আলোচনা চলছে। ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস-এর ওয়েবসাইটেও পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেখানে এক সময়ের ক্রীতদাস প্রথা বিরোধী হ্যারিয়েট টাবম্যানের ছবি ও বক্তব্য সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনাগুলো বিশ্ব অর্থনীতির উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং শুল্কের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এর ফলস্বরূপ উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতেও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কেও আলোচনা করা দরকার।
কারণ বিশ্ব অর্থনীতির এই টালমাটাল অবস্থায় বাংলাদেশের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান