যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নোরফোকের স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটের আকাশে উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওই এলাকা পরিদর্শনের সময় ড্রোন ওড়ার ঘটনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং রাজপরিবারের সম্মান রক্ষার্থে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ২ মার্চ, রাজা তৃতীয় চার্লস স্যান্ড্রিংহাম হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আতিথেয়তা জানান। এর কয়েকদিন পরেই, ১০ মার্চ থেকে আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণের এই নির্দেশ কার্যকর হয়।
জানা গেছে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সফরের সময় কিছু ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছিল। সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য সান’-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি ড্রোন শনাক্ত করা হয়, যা কাছাকাছি থাকা একটি গাড়ির চালকের ছিল।
এছাড়াও, অন্য একটি ড্রোন একজন ফটোগ্রাফারের বলে জানা যায়। তবে, আরও কিছু ড্রোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ পরিবহন সচিব, হেইডি আলেকজান্ডার এই নিষেধাজ্ঞায় স্বাক্ষর করেছেন। এই নির্দেশে বলা হয়েছে, জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং স্যান্ড্রিংহাম হাউসে অবস্থান করা রাজপরিবারের সদস্য ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য, ৬০০ মিটারের কম উচ্চতায় বিমান ওড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তবে, রাজকীয় উড়োজাহাজ, ভিজিটরদের বিমান, পুলিশ এবং জরুরি পরিষেবা এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হেলিকপ্টার যোগে লন্ডন থেকে স্যান্ড্রিংহাম হাউসে এসেছিলেন। এর আগে তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে একটি সম্মেলনে যোগ দেন।
রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে তার বৈঠকটি প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল। সূত্র থেকে জানা যায়, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের অনুরোধের পরেই এই বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এর আগে ২০২৩ সালে, বাকিংহাম প্যালেসেও তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়েছিল। গত বছর, ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে, রাজা চার্লস ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন।
তিনি ইউক্রেনীয় জনগণের “অকথ্য আগ্রাসন” এবং তাদের “সংকল্প ও শক্তির” প্রশংসা করেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান