কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসাতে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অবিরাম বর্ষণে সৃষ্ট এই বন্যায় বিপর্যস্ত শহরটিতে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে পুরোদমে।
রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যায় বহু পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছে।
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সেখানকার প্রধান নদী, নডজিলি, বিপদসীমা অতিক্রম করে। এর ফলে শহরের অর্ধেকের বেশি এলাকায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে, বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার সকালের দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, এখনো অনেক রাস্তাঘাট বন্ধ রয়েছে, যার ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
কিনশাসার বাসিন্দারা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মারি এনজোলা নামের একজন জানান, “আমরা সবকিছু হারিয়েছি।
বৃষ্টি এত দ্রুত আসবে, তা আমরা ভাবতেই পারিনি।” সেখানকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেয়াল ধসে পড়ার কারণে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরের অন্তত ১৬টি অঞ্চলের খাবার পানির সরবরাহ ব্যবস্থা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য চারটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
সেখানকার বাসিন্দারা সরকারের কাছে আরও বেশি সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালেও কিনশাসাতে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীর সঙ্গে সংঘাতের কারণে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সরবরাহ করা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা