1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
April 18, 2025 11:14 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
রাঙামাটি জেলা সড়ক পরিবহণ ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের ৩৮ তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত  কাপ্তাই বিএসপিআই শিক্ষার্থীরা দাবী আদায়ে   কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে গণমিছিল  দৌড়ে হৈচৈ! ২২৫-১ মূল্যের ঘোড়ার অভাবনীয় জয়! শীঘ্রই আসছে নতুন ক্রেডিট কার্ডের সাম্রাজ্য! ক্যালিফোর্নিয়ার আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের লড়াই: সাহায্যের অভাবে দিশেহারা? আতঙ্কে ফ্লোরিডা! বন্দুক হামলায় নিহত ও আহত: আসল ঘটনা? বিয়েতে ভাইকে ডাকতে চান না, কিন্তু… কেট স্পেড: ১০০ টাকার নিচে হাত-মুক্ত ব্যাগ! অবিশ্বাস্য অফার, এখনই কিনুন! প্রথম দিনের ‘বিশৃঙ্খলার’ মাঝে কিভাবে টিকে ছিলেন? ক্রিস্টেন কিসের মুখেই শুনুন! অবশেষে জলদস্যুদের দেখা মিলল! ছবিগুলো দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে!

ফ্যাশন জগৎ থেকে কোথায় হারিয়ে গেল ফানক?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Tuesday, April 8, 2025,

সঙ্গীতের জগতে, কিছু সুর থাকে যা সরাসরি হৃদয়ে আঘাত করে, নাচের জন্য উৎসাহিত করে, আর মানুষের মধ্যে একতা নিয়ে আসে। সত্তরের দশকে, তেমনই একটি সুর ছিল “ফঙ্ক” (Funk)। এটি ছিল এক ধরনের সঙ্গীত যা আত্মার গভীরতা, জ্যাজের ছন্দ এবং ব্লুজের আবেগ মিশ্রিত করে তৈরি হতো।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ফঙ্ক সঙ্গীত, যা একসময় সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল, তা কোথায় হারিয়ে গেল?

ফঙ্ক সঙ্গীতের উত্থান হয়েছিল আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ সমাজে, কিন্তু এর আবেদন ছিল বিশ্বজনীন। এই সঙ্গীতের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল এর সম্মিলিত চেতনা।

“উই ওয়ান্ট দ্য ফঙ্ক!” (We Want the Funk!) নামক একটি প্রামাণ্যচিত্রে ফঙ্ক সঙ্গীতের জন্ম এবং বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জেমস ব্রাউনকে (James Brown) এই ধারার অগ্রদূত হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যিনি “আই গট ইউ (আই ফিল গুড)” (I Got You (I Feel Good)) এবং “পাপাজ গট আ ব্র্যান্ড নিউ ব্যাগ” (Papa’s Got a Brand New Bag)-এর মতো গান দিয়ে ফঙ্ককে সংজ্ঞায়িত করেন।

তার সঙ্গীতের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল জটিল তাল এবং নাচের উপযোগী ছন্দ।

ফঙ্ক সঙ্গীতের বড় ব্যান্ডগুলো প্রায়ই দলবদ্ধভাবে পরিবেশনা করত। তাদের পরিবেশনায় সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে একতা ফুটে উঠত।

“স্লাই অ্যান্ড দ্য ফ্যামিলি স্টোন”-এর (Sly & the Family Stone) মতো ব্যান্ডগুলি শ্বেতাঙ্গ এবং কৃষ্ণাঙ্গ উভয় শিল্পী নিয়ে গঠিত ছিল, যা তাদের সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতিগত বিভাজন দূর করতে সাহায্য করত। তাদের গানগুলো মানুষকে একত্রিত করত, যা আমেরিকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছিল এক বিরল দৃশ্য।

তবে আশির দশকে হিপ-হপ, গ্রাঞ্জ এবং বিকল্প রক সঙ্গীতের উত্থানের সাথে সাথে ফঙ্কের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে। এর কারণ হিসেবে সঙ্গীত শিক্ষা খাতে সরকারি অর্থ হ্রাস, একক শিল্পীর প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তির পরিবর্তনকে দায়ী করা হয়।

একক শিল্পী বা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে গান তৈরির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায়, ফঙ্কের সম্মিলিত চেতনা যেন কিছুটা ফিকে হয়ে যায়।

আজকের দিনে, ফঙ্ক হয়তো আগের মতো জনপ্রিয় নয়, তবে এর প্রভাব এখনো বিদ্যমান। হিপ-হপ, জ্যাজ এবং স্কুলের মার্চিং ব্যান্ডগুলোতে এর উপাদান খুঁজে পাওয়া যায়।

২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্ক রনসন (Mark Ronson) এবং ব্রুনো মার্সের (Bruno Mars) “আপটাউন ফঙ্ক” (Uptown Funk) গানটি ফঙ্কের জনপ্রিয়তার প্রমাণ। এমনকি রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতেও ফঙ্ক সঙ্গীতের দল রয়েছে, যারা ক্লাসিক গানগুলো পরিবেশন করে।

জাপানি কোরিওগ্রাফার মোগার (Moga) তৈরি করা জেমস ব্রাউনের গানের একটি নাচের দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, যা প্রমাণ করে ফঙ্ক এখনো সবার কাছে প্রিয়।

ফঙ্ক সঙ্গীতের মূল আবেদন ছিল এর সম্মিলিত চেতনা, যা মানুষকে একত্রিত করে। আধুনিক সমাজে যখন মানুষজন একাকীত্ব অনুভব করে, তখন এই ধরনের সঙ্গীত যেন এক শান্তির বার্তা নিয়ে আসে।

আমাদের সবারই একসঙ্গে গান গাওয়ার এবং নাচার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, যা ফঙ্ক মিউজিকের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তাই, ফঙ্ক হয়তো হারিয়ে যায়নি, বরং এটি এখনো আমাদের মধ্যে বেঁচে আছে, যা ভবিষ্যতে নতুন রূপে ফিরে আসার সম্ভাবনা রাখে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT