মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট প্রাক্তন ফেডারেল কর্মীদের পুনর্বহাল করার বিষয়ে একটি নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত করেছে। এই রায়ের ফলে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে বরখাস্ত হওয়া প্রায় ১৬,০০০ কর্মীকে পুনরায় কাজে ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
মূলত, কর্মীদের বরখাস্ত করার পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হয়েছিল।
আদালতের এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ ছিল, ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের পক্ষে মামলা করা অলাভজনক সংস্থাগুলোর আইনগত অধিকার নিয়ে প্রশ্ন। সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি কর্মীদের বরখাস্তের কারণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আদালত শুধু বলেছে, মামলাটি পরিচালনাকারী অলাভজনক সংস্থাগুলোর এই বিষয়ে মামলা করার অধিকার ছিল না।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, ফেডারেল সরকারের ছয়টি সংস্থার কর্মীদের পুনর্বহাল করতে হবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়কে আপাতত স্থগিত করেছে।
অন্যদিকে, মেরিল্যান্ডের একটি আদালত একই ধরনের আরেকটি মামলায় কর্মীদের পুনর্বহাল করার নির্দেশ বহাল রেখেছে। এই দুটি আদালতের রায়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
মেরিল্যান্ডের রায়টি এখনো কার্যকর আছে।
আদালতে শুনানিতে কর্মীদের বরখাস্ত করার কারণ হিসেবে পারফরম্যান্সের অভাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। কর্মীদের অফিস অফ পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট থেকে একটি ইমেইল পাঠানো হয়েছিল, যেখানে তাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে চাকরি হারানোর কথা জানানো হয়।
বিচারক উইলিয়াম অ্যালসাপ কর্মীদের ছাঁটাইয়ের কারণকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সরকার যদি কোনো ভালো কর্মীকে বরখাস্ত করে এবং এর কারণ হিসেবে পারফরম্যান্সের কথা বলে, তবে তা খুবই দুঃখজনক।
অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিম্ন আদালতের এই রায় ক্ষমতার বিভাজন লঙ্ঘন করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আদালতের এমন সিদ্ধান্ত, বিচার বিভাগের কর্মীদের ব্যবস্থাপনার ক্ষমতাকে খর্ব করে।
এই রায়ের ফলে, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে এমন ধারণা জন্মাতে পারে যে, তারা তাদের বিরুদ্ধে আসা আইনি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে পারবে। কারণ, সুপ্রিম কোর্টে বর্তমানে রক্ষণশীল বিচারকের সংখ্যা বেশি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান