সাত বছর আগে, জনপ্রিয় মার্কিন টিভি সিরিয়াল ‘সেভেন্থ হেভেন’-এর অভিনেতা স্টিফেন কলিন্স-এর বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর কেমন আছেন এক সময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেতা?
সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু তথ্য সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছে।
১৯৯৬ সালে ‘সেভেন্থ হেভেন’ সিরিয়ালে রেভারেন্ড এরিক ক্যামডেনের চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন কলিন্স। পর্দার এই আদর্শ পিতার চরিত্রে অভিনয়ের আড়ালে লুকিয়ে ছিল তার এক অন্ধকার দিক, যা ২০১৪ সালে প্রকাশ্যে আসে।
জানা যায়, কলিন্স তার প্রাক্তন স্ত্রী’র সঙ্গে একটি থেরাপি সেশনের সময়, শিশুদের যৌন নির্যাতনের কথা স্বীকার করেন। গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা সেই কথোপকথন পরবর্তীতে ফাঁস হয়ে যায়।
অভিযোগ ওঠে, ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে কলিন্স অন্তত তিনজন শিশুকে যৌন নির্যাতন করেছেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করার পর অভিনয় জগৎ থেকে কার্যত নির্বাসিত হন তিনি।
সেই সময় ‘টেড ২’ সহ বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়।
যদিও কলিন্সের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো ফৌজদারি মামলা হয়নি, কারণ ততদিনে ঘটনার সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফের দপ্তর তদন্ত শুরু করলেও, সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি।
বর্তমানে, কলিন্স-এর জীবন কেমন কাটছে? জানা যায়, তিনি এখন আইওয়া অঙ্গরাজ্যে বসবাস করছেন এবং তার চেয়ে প্রায় ৪০ বছরের ছোট একজন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন।
ওই নারী একসময় ‘সেভেন্থ হেভেন’-এর দারুণ ভক্ত ছিলেন।
সম্প্রতি, ‘সেভেন্থ হেভেন’-এর অভিনেতা-অভিনেত্রী—বেভারলি মিচেল, ডেভিড গ্যালাঘের এবং ম্যাকেঞ্জি রসম্যান একটি পডকাস্টে কলিন্সের এই ঘটনার বিষয়ে কথা বলেছেন।
তারা যৌন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন এবং এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তারা স্পষ্ট করে বলেন, কলিন্সের সঙ্গে তাদের কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা হয়নি এবং তারা তার এই ধরনের আচরণকে সমর্থন করেন না।
শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতন একটি গুরুতর অপরাধ। কলিন্সের ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দেয়, শিশুদের সুরক্ষা এবং তাদের প্রতি হওয়া যেকোনো ধরনের অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
তথ্যসূত্র: পিপল