শিরোনাম: সব বায়ু টারবাইন কি একই দিকে ঘোরে? এর কারণ কী?
বর্তমানে পরিবেশ দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সারা বিশ্বজুড়ে বিকল্প শক্তির উৎস নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে বায়ু শক্তি বা উইন্ড এনার্জি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক।
আমাদের দেশেও নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের সম্ভাবনা বাড়ছে, এবং বায়ু টারবাইন বা পবনচক্র সেই ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, এই বায়ু টারবাইনগুলো কি সবসময় একই দিকে ঘোরে? যদি ঘোরে, তবে এর কারণ কী?
আসলে, বেশিরভাগ বায়ু টারবাইন একটি নির্দিষ্ট দিকে ঘোরে। এর প্রধান কারণ হলো তাদের ডিজাইন এবং কার্যকারিতা।
বায়ু টারবাইন তৈরি করার সময় এর ব্লেডগুলোর গঠন এমনভাবে করা হয়, যা বাতাসের দিক থেকে শক্তি শোষণ করে এবং একটি নির্দিষ্ট দিকে ঘুরতে সাহায্য করে। এই ঘূর্ণন একদিকে হলে টারবাইনটির কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং এটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সহজ হয়।
যদি টারবাইনগুলো এলোমেলোভাবে ঘুরতে শুরু করে, তাহলে তাদের ডিজাইন ও কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়াতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সাধারণত, বায়ু টারবাইনগুলো ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে (counter-clockwise) ঘোরে। এর কারণ হলো এর অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন বা বায়ুপ্রবাহের সাথে মানানসই নকশা।
এই ঘূর্ণন বাতাসের দিক থেকে শক্তিকে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগাতে সহায়তা করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে পুরনো মডেলের বা ভিন্ন প্রযুক্তির টারবাইন হয়তো ঘড়ির কাঁটার দিকেও ঘুরতে পারে।
বাংলাদেশেও বায়ু শক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে বায়ু টারবাইন স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
যদিও এখনো পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বায়ু টারবাইন স্থাপন করা হয়নি, তবে সরকার নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের উপর জোর দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে বায়ু বিদ্যুতের ব্যবহার আরও বাড়তে পারে।
বায়ু টারবাইনের কার্যকারিতা এবং ঘূর্ণন দিকের ধারণা, এই প্রযুক্তিকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
সুতরাং, বায়ু টারবাইনগুলোর ঘূর্ণনের দিক তাদের ডিজাইন, কার্যকারিতা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। একই দিকে ঘোরার ফলে তারা আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়াটি সহজ হয়।
ভবিষ্যতে, বাংলাদেশেও বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এই বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: The Guardian