গ্যারি হ্যালিওয়েল-হর্নার: বিশ্ব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে উঠে আসা এক লেখকের গল্প
নব্বইয়ের দশকে ‘স্পাইস গার্লস’-এর ‘জিঞ্জার স্পাইস’ নামেই পরিচিত ছিলেন গ্যারি হ্যালিওয়েল-হর্নার। পপ গানের জগৎ থেকে তিনি এখন একজন সফল লেখক।
শুধু তাই নয়, ভ্রমণ আর বইয়ের প্রতি ভালোবাসাও তাকে পরিচিতি এনে দিয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবন এবং কাজের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
গ্যারি জানিয়েছেন, ভ্রমণের সময় তিনি সব সময়ই একটি জিনিস সঙ্গে রাখেন— একটি নোটবুক। তার মতে, নতুন একটি নোটবুকের সাদা পাতাগুলোতে লিখতে শুরু করার অনুভূতিটাই অসাধারণ।
তিনি বলেন, “আমি সব সময়ই নতুন কিছু জানার চেষ্টা করি, আমার সবকিছুই বেশ আকর্ষণীয় মনে হয়।”
ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া ধারণাগুলো তার লেখার অনুপ্রেরণা জোগায়। বিশেষ করে তার দুটি জনপ্রিয় উপন্যাস ‘রোজি ফ্রস্ট অ্যান্ড দ্য ফ্যালকন কুইন’ এবং ‘রোজি ফ্রস্ট: আইস অন ফায়ার’-এর প্লট তৈরির পেছনে রয়েছে বিভিন্ন ভ্রমণের স্মৃতি।
২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই ‘উজেনিয়া ল্যাভেন্ডার’।
একবার দুবাইয়ের মরুভূমিতে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে গ্যারি বলেন, “বালির টিলার উপরে বসে আকাশের দিকে তাকিয়েছিলাম।
মনে হচ্ছিল, তারাগুলো যেন হাতের কাছেই! এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আমি আগে দেখিনি।” পাহাড় এবং সমুদ্র— দুটোই তার প্রিয় জায়গা।
কেপ টাউনের টেবিল মাউন্টেনে হেঁটে ওঠা কিংবা অস্ট্রিয়ার একটি বরফের চূড়ায় ওঠা— ভ্রমণের এমন অনেক স্মৃতি রয়েছে তার ঝুলিতে।
লেখার কাজে সব সময়ই নতুন আইডিয়ার খোঁজে থাকেন গ্যারি। উড়োজাহাজে বসে সিটের পেছনের ‘এমার্জেন্সি’ বিষয়ক কাগজেও তিনি অনেক আইডিয়া টুকে রেখেছেন।
এছাড়া, বইয়ের দোকান তার খুব পছন্দের জায়গা। তিনি বলেন, বইয়ের দোকানে গেলে অন্য বইগুলোর দিকেও তার চোখ যায়।
গ্যারির মতে, ভ্রমণ আর বই পড়া— দুটোই জীবনের জন্য খুব জরুরি। তার কথায়, “পৃথিবীর নানা জায়গা ঘুরে আসলে, বইয়ের জগৎ সম্পর্কেও অনেক কিছু জানা যায়।
ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা অনেক নতুন বিষয় জানতে পারি।”
বর্তমানে তিনি আলাস্কার মেরু ভালুক দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এছাড়াও, নির্জন সমুদ্র সৈকতে বসে এক কাপ চা পান করতেও তার ভালো লাগে।
যারা লিখতে ভালোবাসেন, গ্যারির জীবন তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল + লেজার