পশ্চিমের দেশগুলোতে কুকুর দৌড় প্রতিযোগিতা: কেমন এই ভিন্নধর্মী খেলা?
কুকুর এবং তাদের মালিকদের মধ্যেকার বন্ধন সবসময়ই এক দারুণ বিষয়। খেলাধুলা হোক কিংবা অন্য কোনো কাজ, একসঙ্গে থাকলে তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
এই ধারণাকে কেন্দ্র করেই পশ্চিমা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে “ডগ অ্যাজিলিটি” বা কুকুর দৌড় প্রতিযোগিতা। সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের নরউইচের কাছে অবস্থিত ইস্টন কলেজ ইকুয়েস্ট্রিয়ান সেন্টারে অনুষ্ঠিত হওয়া এমন একটি প্রতিযোগিতার খবর পাওয়া গেছে। যেখানে বিভিন্ন বয়সের এবং বিভিন্ন জাতের কুকুরের মালিকরা তাদের প্রিয় পোষ্যদের নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন।
“ডগ অ্যাজিলিটি” মূলত প্রশিক্ষিত কুকুর এবং তাদের মালিকদের একটি যৌথ ক্রীড়া। এই খেলায় কুকুরগুলোকে কিছু নির্দিষ্ট বাধা অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে থাকে জাম্প, টানেল, ওয়েভিং পোল, সি-স এবং উঁচু পথ।
মালিক তার কুকুরকে বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে পথ দেখান এবং বাধাগুলো অতিক্রম করতে সাহায্য করেন। খেলাটি সাধারণত কয়েকটি গ্রেডে বিভক্ত থাকে, যেখানে কুকুরদের দক্ষতা ও আকারের ভিত্তিতে তাদের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিচারকরা খেলাটি পর্যবেক্ষণ করেন এবং ভুল করলে সে অনুযায়ী নম্বর দেন।
এই প্রতিযোগিতার শুরুটা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে, ক্রুফটসে। মূলত, খেলাটির মাধ্যমে দর্শকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হতো। বর্তমানে, শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে প্রায় ৫,৫০০ জন প্রশিক্ষক এবং ৯,০০০ কুকুর এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
বর্ডার কলি জাতের কুকুরগুলো সাধারণত এই ধরনের খেলায় বেশি দেখা যায়। তবে, এখানে সব ধরনের কুকুরের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য কুকুর এবং তাদের মালিকদের কঠোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়। মালিকদের সংকেত দেওয়ার কৌশল এবং কুকুরের সে অনুযায়ী কাজ করার ক্ষমতা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় দেখা যায়, সামান্য ভুলের কারণেও প্রতিযোগী বাদ পড়ে যায়।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া একটি প্রতিযোগিতায়, ডেমি রাইট নামের এক প্রতিযোগী তার “শেলবি” নামের একটি কুকুরের সঙ্গে জুনিয়র বিভাগে অংশ নিয়ে ভালো ফল করেন।
কুকুর দৌড় প্রতিযোগিতা শুধু খেলাধুলা নয়, এটি মালিক এবং কুকুরের মধ্যে ভালোবাসার একটি দারুণ উদাহরণ। এই ধরনের খেলাধুলা তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে তোলে।
তথ্য সূত্র: The Guardian