1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 1, 2025 4:26 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
কাপ্তাই মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি উপজেলা কমিটির প্রশিক্ষণ  অর্থনীতির স্বয়ংক্রিয় হৃৎপিণ্ড বিদেশিদের কাছে হস্তান্তর অযৌক্তিক এবং ঝুঁকিপূর্ণ—ক্যাপ্টেন রেদওয়ান সিকদার কাউখালীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রেঞ্চ বিতরণ অনুষ্ঠিত কাপ্তাইয়ের কেপিএম এ শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন   ছাতকে মাদক দ্রব্য বিক্রেতার বিরুদ্ধে কথা বলায় হামলা সাংবাদিক সহ আহত ৫ কাপ্তাই-চট্টগ্রাম ওয়াই সি এল পরিবহণ উদ্বোধন বিখ্যাত গায়িকার কনসার্টে নাচতে গিয়ে বিপাকে, হারালেন চুল! বোনের স্বামীর পছন্দের পোশাক নিয়ে মন্তব্যের জেরে ‘পিক-মি’ তকমা! সন্তান জন্ম: স্যাম অল্টম্যানের জীবনে এলো ‘বিস্ময়কর পরিবর্তন’! ৭০০ পাউন্ডের পাথর: আলাস্কার ব্যক্তির অলৌকিক survival!

খাবারে রং: কৃত্রিমতার দিন শেষ? পোকা ও বিটের রস-ই বাজি?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Monday, April 28, 2025,

কৃত্রিম খাদ্য রং: স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও বিকল্পের সন্ধানে

খাবারকে আকর্ষণীয় করতে ব্যবহৃত কৃত্রিম রং নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে আলোচনা। সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে তাদের পণ্য থেকে এই রংগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য।

এর কারণ হিসেবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং ভোক্তাদের সচেতনতাকে উল্লেখ করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (Food and Drug Administration – FDA) ২০২৬ সালের মধ্যে খাদ্য কোম্পানিগুলোকে স্বেচ্ছায় পেট্রোলিয়াম-ভিত্তিক কৃত্রিম রং ব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে এই রংগুলোর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

যদিও এফডিএ অনুমোদিত রংগুলোকে নিরাপদ বলে মনে করে, কিছু গবেষণায় শিশুদের মধ্যে অতিসক্রিয়তা এবং মনোযোগের অভাবের মতো সমস্যা দেখা গেছে।

বর্তমানে, খাদ্য প্রস্তুতকারকরা প্রাকৃতিক রং ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন। এক্ষেত্রে, সবজি, ফল, ফুল এবং এমনকি পোকামাকড় থেকেও রং সংগ্রহ করা হচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ, বিটের রস, কালো গাজরের রস, শৈবাল এবং কোকিল নামের এক প্রকার পোকা থেকে রং তৈরি করা হচ্ছে। তবে, প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা সহজ নয়।

এগুলো কৃত্রিম রংয়ের তুলনায় বেশি ব্যয়বহুল এবং এদের রঙে স্থিতিশীলতাও কম থাকে। তাপ, আলো এবং অম্লত্বের কারণে এদের রঙ পরিবর্তন হতে পারে।

এই পরিবর্তনের পথে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক রংয়ের সরবরাহ নিশ্চিত করা। খাদ্য বিশেষজ্ঞ মনিকা জিউস্তি জানিয়েছেন, যদি সব কোম্পানি কৃত্রিম রং ব্যবহার বন্ধ করে দেয়, তাহলে প্রাকৃতিক রংয়ের সরবরাহ যথেষ্ট নাও হতে পারে।

একটি পণ্যকে কৃত্রিম রং থেকে প্রাকৃতিক রঙে রূপান্তর করতে প্রায় ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ইতিমধ্যে, কিছু খাদ্য কোম্পানি তাদের পণ্যে পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে। পেপসিকো (Pepisco) জানিয়েছে, তাদের বেশিরভাগ পণ্যে ইতিমধ্যে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয় না এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ তাদের লে’স (Lays) ও টোস্টিটোস (Tostitos) ব্র্যান্ড কৃত্রিম রং মুক্ত হবে।

একইভাবে, জেনারেল মিলস (General Mills) এবং ডব্লিউকে কেলগ (WK Kellogg) এর মতো কোম্পানিগুলোও এই পরিবর্তনের পথে হাঁটছে।

তবে, রং পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভোক্তাদের প্রতিক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৬ সালে, জেনারেল মিলস তাদের ট্রিক্স (Trix) সিরিয়াল থেকে কৃত্রিম রং সরিয়ে প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করতে শুরু করে।

কিন্তু এর ফলে সিরিয়ালের রং হালকা হয়ে যায় এবং ভোক্তারা আগের উজ্জ্বল রং ও স্বাদের অভাব অনুভব করেন। ফলে, ২০১৭ সালে কোম্পানিটিকে আবার পুরনো রূপে ফিরতে হয়।

বাংলাদেশেও বিভিন্ন খাদ্য পণ্যে কৃত্রিম রংয়ের ব্যবহার হয়। খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের উচিত, খাদ্য পণ্যে ব্যবহৃত রংয়ের মান এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।

একইসাথে, স্থানীয় খাদ্য প্রস্তুতকারকদের প্রাকৃতিক রং ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা যেতে পারে।

তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT