আমি ৬০টি ম্যারাথন দৌড়েছি: অভিজ্ঞতা ও দৌড়ের সরঞ্জাম
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে দৌড়বিদদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিশেষ করে, ম্যারাথন এখন অনেকের কাছেই একটি স্বপ্নের মতো। যারা প্রথমবারের মতো এই চ্যালেঞ্জ নিতে চাইছেন, তাদের জন্য প্রস্তুতিটা বেশ কঠিন হতে পারে।
প্যারিস কিংবা লন্ডনের মতো বড় শহরগুলোতে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ এখন বাড়ছে, এবং এতে আমাদের দেশের দৌড়বিদদের আগ্রহও বাড়ছে।
আমি নিজে ৬০টি ম্যারাথনে অংশ নিয়েছি। প্রথম ম্যারাথন দৌড়ের অভিজ্ঞতা ছিল বেশ উদ্বেগের। শরীর কতটা সহ্য করতে পারবে, রাস্তায় কোনো সমস্যা হবে কিনা—এসব নানা চিন্তা মাথায় ঘুরছিল।
দৌড়ের সময় শরীরে অস্বস্তি হতে পারে, এমন অনেক কিছুই ঘটতে পারে। তাই, দৌড়ের আগে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নির্বাচন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নতুনদের জন্য, দৌড়ের সরঞ্জাম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরামের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। গতির চেয়ে এখানে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি জরুরি। দৌড়ের সময় পায়ের জন্য ভালো জুতা, মোজা এবং শরীরের অন্য অংশের জন্য উপযুক্ত অন্তর্বাস বেছে নেওয়া উচিত।
দৌড়ের জুতা: দীর্ঘ সময় দৌড়ানোর সময় পায়ের আরাম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কার্বন-ফাইবারযুক্ত হালকা জুতা অনেকের পছন্দের হতে পারে, তবে শুরুতে নির্ভরযোগ্য, আরামদায়ক জুতা বেছে নেওয়াই ভালো। এতে পায়ের পেশি ও জয়েন্টগুলোতে চাপ কম পড়ে এবং দৌড়টা সহজ হয়।
মোজা: দৌড়ের সময় পায়ের চামড়া ওঠা বা ফোস্কা পড়ার সম্ভবনা থাকে। ভালো মানের মোজা ব্যবহার করলে এই সমস্যাগুলো এড়ানো যেতে পারে। যারা নিয়মিত দৌড়ান, তারা তাদের পছন্দের আরামদায়ক মোজা ব্যবহার করতে পারেন।
অন্তর্বাস: দৌড়ের সময় শরীরে ঘর্ষণ হয়ে চামড়া লাল হয়ে যেতে পারে। এর থেকে বাঁচতে ভালো মানের, আরামদায়ক অন্তর্বাস পরা প্রয়োজন।
লুব্রিকেন্ট: চামড়ার ঘর্ষণ কমাতে লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে এবং দৌড়কে আরও উপভোগ্য করে তোলে।
এছাড়াও, দৌড়ের সময় নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখাটা খুব জরুরি। আপনি যদি আত্মবিশ্বাসী হন, তবে যেকোনো প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে পারবেন। ম্যারাথনের মতো দীর্ঘ দৌড়ে সাফল্যের জন্য শারীরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তাও প্রয়োজন।
পরিশেষে, বলতে চাই, ম্যারাথন দৌড় একটি চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতা, তবে সঠিক প্রস্তুতি এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এটি জয় করা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: The Guardian