বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: কুকুর এবং পরিবেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব। কুকুরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি উন্নত বিশ্বে পরিবেশ সচেতনতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
যদিও বাংলাদেশে কুকুর পোষা তুলনামূলকভাবে কম, তবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ধারণাটি আমাদের সকলের জন্য অপরিহার্য। আমাদের চারপাশে বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা পরিবেশের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।
বর্তমানে প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে বর্জ্যের পরিমাণ। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক উপায় জানা জরুরি।
প্লাস্টিকের ব্যাগ: সমস্যা এবং সমাধান। কুকুরের বর্জ্য সাধারণত প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফেলা হয়।
কিন্তু এই ব্যাগগুলো পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কারণ, প্লাস্টিকের ব্যাগ সহজে পচে না।
এগুলো মাটিতে মিশে যেতে হাজার বছর পর্যন্ত সময় নিতে পারে। এমনকি, এই ব্যাগগুলো ভেঙে ক্ষুদ্র প্লাস্টিকে পরিণত হয়, যা পরিবেশের আরও ক্ষতি করে।
এছাড়াও, প্লাস্টিক ব্যাগ তৈরিতে প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়, যা কার্বন নিঃসরণ বাড়ায়।
অন্যদিকে, বাজারে বায়োডিগ্রেডেবল বা কম্পোস্টেবল ব্যাগ পাওয়া যায়, যা পরিবেশবান্ধব বলে দাবি করা হয়। কিন্তু বাস্তবে, এই ব্যাগগুলো সঠিক পরিবেশে না ফেললে সহজে পচে না।
উদাহরণস্বরূপ, ডাস্টবিনে বা ল্যান্ডফিলে (landfill) ফেলা হলে তাদের পচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
“স্টিক অ্যান্ড ফ্লিক” পদ্ধতি: একটি বিতর্কিত উপায়। কিছু কুকুর মালিক বর্জ্য ফেলার জন্য “স্টিক অ্যান্ড ফ্লিক” পদ্ধতি অনুসরণ করেন।
অর্থাৎ, বর্জ্য ব্যাগে না ভরে প্রকৃতির উপর ফেলে দেন। অনেকে মনে করেন, এটি মাটির সঙ্গে মিশে যাবে এবং কোনো ক্ষতি করবে না।
তবে, বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পদ্ধতি পরিবেশের জন্য ভালো নয়। কুকুরের বর্জ্যে ক্ষতিকর জীবাণু থাকতে পারে, যা মাটির উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে।
এছাড়াও, অতিরিক্ত সার প্রয়োগের ফলে কিছু উদ্ভিদের দ্রুত বৃদ্ধি হয়, যা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করে।
তাহলে উপায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, বিদ্যমান ব্যাগগুলো পুনর্ব্যবহার করা।
অর্থাৎ, অন্য কোনো কাজে ব্যবহৃত হওয়া ব্যাগ ব্যবহার করা। এছাড়াও, বর্জ্য ফেলার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত স্থান ব্যবহার করা উচিত।
কয়েকটি বিকল্প উপায়:
উপসংহার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এটি আমাদের পরিবেশকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই, কুকুর সহ যেকোনো ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব উপায়গুলো বেছে নিতে হবে।
আসুন, আমরা সবাই মিলে আমাদের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ি।
তথ্য সূত্র: The Guardian