বর্তমানে, তারবিহীন হেডফোন (Wireless Headphones) ব্যবহারের প্রবণতা বাংলাদেশে দ্রুত বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে এটি ফ্যাশন এবং প্রয়োজনীয়তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

বাজারে বিভিন্ন দামের এবং ফিচারের হেডফোন পাওয়া গেলেও, এর সঙ্গে বাড়ছে এগুলো হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়ার ঝুঁকিও।

তাই, আপনার প্রিয় হেডফোন সুরক্ষার জন্য কিছু জরুরি পদক্ষেপ জানা দরকার।

যদি আপনার হেডফোন হারিয়ে যায় বা চুরি হয়, তাহলে দ্রুত কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

প্রথমে, আপনার ফোনে ইনস্টল করা হেডফোন কন্ট্রোল অ্যাপটি (Control App) পরীক্ষা করুন। অনেক অ্যাপে শেষবার হেডফোনটি কোথায় কানেক্ট হয়েছিল, সেই লোকেশন দেখানোর ব্যবস্থা থাকে।

এছাড়াও, আপনার ফোনে ‘ফাইন্ড মাই’ (Find My) অপশনটি চালু থাকলে, অ্যাপেলের এয়ারপডস (AirPods), স্যামসাং গ্যালাক্সি বাডস (Samsung Galaxy Buds) অথবা গুগল পিক্সেল বাডসের (Google Pixel Buds) মতো কিছু হেডফোন খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এই অপশনের মাধ্যমে আপনি হেডফোনটিকে ‘হারিয়ে গেছে’ হিসেবে চিহ্নিতও করতে পারেন।

হেডফোন চুরি হয়ে গেলে দ্রুত থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন।

এক্ষেত্রে, হেডফোনের মডেল, রং, এবং সিরিয়াল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য দিন।

এই সিরিয়াল নম্বর সাধারণত হেডফোনের প্যাকেজিং-এর উপরে লেখা থাকে।

এরপর, আপনার যদি কোনো বীমা (Insurance) করা থাকে, তবে দেখুন সেই বীমাতে হেডফোন হারানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে কিনা।

অনেক সময়, বাড়ির জিনিসপত্রের বীমা (Home Contents Insurance) ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে।

নতুন হেডফোন কেনার পর, কিছু সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

নতুন হেডফোন কেনার সঙ্গে সঙ্গেই সেটির কন্ট্রোল অ্যাপ সেট আপ করুন এবং লোকেশন ট্র্যাকিং (Location Tracking) চালু করুন।

অ্যাপেল ব্যবহারকারী হলে ‘ফাইন্ড মাই’ অপশন এবং অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী হলে গুগল-এর ‘ফাইন্ড ডিভাইস’ (Find Device) -এ হেডফোন যোগ করুন, যদি এই সুবিধা থাকে।

অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য, একটি ব্লুটুথ ট্র্যাকার (Bluetooth Tracker) ব্যবহারের কথা ভাবতে পারেন।

বাজারে অ্যাপেল এয়ারট্যাগ (Apple AirTag), অথবা স্যামসাং স্মার্টট্যাগ-এর (Samsung SmartTag) মতো ছোট ট্র্যাকার পাওয়া যায়, যা হেডফোনের সাথে যুক্ত করে এর অবস্থান সবসময় জানা যেতে পারে।

হেডফোন কেনার সময়, এর মডেল এবং সিরিয়াল নম্বর লিখে রাখুন এবং ক্রয়ের প্রমাণপত্র (Proof of Purchase)-এর সঙ্গে নিরাপদে সংরক্ষণ করুন।

যদি সম্ভব হয়, তবে হেডফোনে আপনার নাম খোদাই করে নিতে পারেন, যা চোরদের নিরুৎসাহিত করবে।

সর্বোপরি, হেডফোন ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন।

বিশেষ করে জনবহুল স্থানে, হেডফোন পরে গান শোনার সময় আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকুন।

নয়েজ ক্যান্সেলেশন (Noise Cancellation) ফিচারের হেডফোন ব্যবহার করলে, বাইরের শব্দ শোনার জন্য ‘অ্যাওয়ারনেস মোড’ (Awareness Mode) ব্যবহার করতে পারেন।

সতর্কতা অবলম্বন করে, আপনি আপনার মূল্যবান হেডফোন সুরক্ষিত রাখতে পারেন এবং হারানোর ঝুঁকি কমাতে পারেন।

তথ্য সূত্র: The Guardian