বর্ষাকালীন ছুটিতে পরিবারের সাথে ভ্রমণে গিয়ে এক ভয়ানক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন নাটালি পালামিডেস। ঘটনাটি ২০০১ সালের, যখন তিনি কৈশোরে পা দিয়েছেন।
আমেরিকার বাইরে প্রথমবারের মতো, গ্রীষ্মমন্ডলীয় একটি সুন্দর স্থান, পুয়ের্তো রিকোতে (Puerto Rico) ঘুরতে যাওয়া ছিল তার। ১১ বছর বয়সী নাটালি, বন্ধুদের মাঝে হাসিখুশি হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তবে অপরিচিত পরিবেশে তিনি ছিলেন খুবই লাজুক।
কিন্তু এই ভ্রমণে ঘটে যাওয়া কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনার মাধ্যমে তিনি যেন নতুনভাবে নিজেকে খুঁজে পান, হারিয়ে ফেলেন সংকোচ।
পরিবারের সবাই মিলে এল ইয়ুনকে ন্যাশনাল ফরেস্টে (El Yunque National Forest) যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। নাটালির মা চেয়েছিলেন, এখানকার ভিজিটর সেন্টারে (visitor center) যেতে, যেখানে শিশুদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল।
কিন্তু বিপত্তি ঘটল যখন তার বাবা রাস্তা হারিয়ে ফেললেন। দ্বিভাষিক (bilingual) না হওয়ায় তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন।
“সালাদা (salida) কী?” – চিৎকার করে তিনি রাস্তার পাশের সাইনবোর্ডগুলো (signboard) পেরিয়ে যাচ্ছিলেন।
অবশেষে এক ফল বিক্রেতার কাছ থেকে তারা পথের দিশা পান। এরপর তারা এমন একটি পথে প্রবেশ করেন, যা সম্ভবত জঙ্গলের গভীরে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল।
পথ চলতে চলতে গরমের কারণে নাটালির মা তার পোশাক খুলতে বাধ্য হন। এতে নাটালি কিছুটা বিব্রত হলেও মায়ের ছিল অন্য যুক্তি।
কিছুক্ষণ পর তারা যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, তখন তাদের বাবা ও ভাই পাহাড়ের উপরে যাওয়ার জন্য এগিয়ে যান। হঠাৎ নাটালি শুনতে পেলেন, কিছু লোক তাদের দিকে আসছে।
মা তখনও পোশাক পরেননি। তাদের কাছাকাছি আসতেই নাটালি বুঝতে পারলেন, তারা স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলছেন। এরপর যা ঘটলো, তা ছিল কল্পনারও বাইরে!
এরপর তারা হোটেলে ফিরে আসেন, এবং রাতের খাবারে একটি রেস্টুরেন্টে (restaurant) যান। সেখানে নাটালির ভাই ডার্ক চকোলেট কেক (dark chocolate cake) খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এর কিছুক্ষণ পরেই নাটালির শরীরে দেখা দেয় অ্যালার্জির (allergy) মতো ফুসকুড়ি। সারা শরীরে চুলকানি শুরু হয় এবং তিনি অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন।
পরের দিন, তারা আবার এল ইয়ুনকে ন্যাশনাল ফরেস্টে যান, তবে এবার তারা ভালোভাবে প্রস্তুত ছিলেন। অবশেষে তারা ভিজিটর সেন্টারের সুন্দর পথ খুঁজে পান।
এই ভ্রমণের নানা অপ্রত্যাশিত ঘটনার মধ্যে দিয়ে নাটালির সংকোচ ভেঙে যায়, এবং তিনি নতুনভাবে বাঁচতে শুরু করেন।
তথ্য সূত্র: The Guardian