আমদানি শুল্কের কারণে বিশ্বজুড়ে শিশুদের প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে অভিভাবকদের উপর। সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেবি পণ্য, যেমন – বাচ্চাদের স্ট্রলার ও গাড়ির সিটের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতার কারণে এই ধরনের ঘটনা এখন প্রায়ই ঘটছে, যা বিভিন্ন দেশের মানুষকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির মূল কারণ হলো চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর আরোপিত শুল্ক। ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে এই শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ এখন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।
বেবি পণ্য প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এই শুল্কের কারণে তাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে, যা সরাসরি ক্রেতাদের উপর প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে, স্ট্রলারের দাম গড়ে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং গাড়ির সিটের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ পণ্য, যেমন স্ট্রলার ও গাড়ির সিট, চীন থেকে আমদানি করা হয়। ফলে, শুল্কের কারণে দাম বাড়তে বাধ্য।
উদাহরণস্বরূপ, একটি স্ট্রলারের দাম আগে যেখানে ২৫,০০০ টাকা (আনুমানিক) ছিল, এখন সেটি বেড়ে প্রায় ৩১,২৫০ টাকা (আনুমানিক) হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, অনেক অভিভাবক এখন শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছেন। অনেকে তাদের বন্ধু এবং আত্মীয়দের কাছ থেকে উপহার হিসেবে নগদ অর্থ অথবা এই ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এই পরিস্থিতিতে, অনেক বাবা-মা তাঁদের সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার পরিকল্পনা করছেন, কারণ তাঁরা আশঙ্কা করছেন ভবিষ্যতে দাম আরও বাড়তে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, অভিভাবকদের মধ্যে জিনিসপত্র কেনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য অনলাইন ফোরামগুলিতেও আলোচনা হচ্ছে।
এই ফোরামগুলোতে মায়েরা অন্যান্য মায়েদের কাছে পরামর্শ চাইছেন, এখন জিনিসপত্র কেনা উচিত নাকি দাম কমার জন্য অপেক্ষা করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পরিস্থিতিতে সরকারগুলির উচিত আমদানি শুল্কের বিষয়ে নতুন করে বিবেচনা করা, যাতে শিশুদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বিশ্ব অর্থনীতির এই পরিস্থিতিতে, প্রতিটি দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতিগুলির সঠিক পর্যালোচনা ও সংস্কার করা জরুরি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন