মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (সিপিবি)-এর পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্যকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কর্পোরেশন ফর পাবলিক ব্রডকাস্টিং (সিপিবি) মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।
সিপিবি হলো একটি বেসরকারি সংস্থা, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক রেডিও এবং টেলিভিশনের জন্য অর্থ সরবরাহ করে। সংস্থাটি মূলত শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রাম তৈরি করে থাকে। এই কর্পোরেশন প্রতি বছর ৫৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে সরাসরি পাবলিক মিডিয়াতে বিতরণ করে।
এই অর্থ পাবলিক ব্রডকাস্টিং সার্ভিস (পিবিএস) এবং ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওর (এনপিআর)-এর মতো গণমাধ্যমগুলোর কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। মামলার মূল বিষয় হলো, ট্রাম্প প্রশাসন সিপিবি’র তিনজন বোর্ড সদস্যকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করেছিল।
এই বোর্ড সদস্যরা বাইডেন প্রশাসন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। সিপিবি’র আইনজীবীরা বলছেন, ১৯৬৭ সালের একটি আইন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো অধিকার নেই।
ওই আইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সরকার শিক্ষা বিষয়ক টেলিভিশন বা রেডিও সম্প্রচারের ওপর কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। সিপিবি চাইছে আদালত ঘোষণা করুক যে, বরখাস্ত করার যে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে, তার কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
সিপিবি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এই মামলার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চায়, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা যেন তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে না পারে। কারণ, সিপিবি একটি ফেডারেল সংস্থা নয়, বরং একটি বেসরকারি কর্পোরেশন।
এর আগে, হোয়াইট হাউজ ঘোষণা করেছে যে, তারা আগামী দুই বছরের জন্য সিপিবিকে বরাদ্দ করা অর্থ ফেরত নেওয়ার জন্য কংগ্রেসের কাছে আবেদন করবে। এই ঘটনার সূত্র ধরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সরকারি অর্থায়নের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
অনেকে মনে করেন, গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা জরুরি। কারণ, এর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। তথ্য সূত্র: সিএনএন