ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, ডা. কেইসি মিন্সের স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু বিতর্কিত মন্তব্য সম্প্রতি জনসম্মুখে এসেছে। বিভিন্ন জনপ্রিয় পডকাস্টে তাঁর দেওয়া বক্তব্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, স্বাস্থ্যখাতে প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে তিনি খাদ্য, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশগত কারণগুলোর উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে চান।
ডা. মিন্স, যিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত হতে পারেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনা এবং পডকাস্টে অংশ নিয়েছেন। সেখানে তিনি দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো প্রতিরোধের জন্য প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন। তাঁর মতে, ক্যান্সার, আলঝাইমার, স্থূলতা, এমনকি পুরুষত্বহীনতা ও বন্ধ্যাত্বের মতো রোগের মূল কারণ হলো দূষিত খাবার, বায়ু দূষণ, খাদ্য সংযোজন এবং অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার। এই বিষয়গুলো শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে ব্যাহত করে, যা বিভিন্ন রোগের জন্ম দেয়।
ডা. মিন্স খাদ্যতালিকায় পরিবর্তনের উপর জোর দেন। তাঁর মতে, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে কীটনাশকমুক্ত ফল ও সবজি গ্রহণ করতে হবে এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিনি সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে। তিনি মনে করেন, শিশুদের জন্য টিকাকরণের বর্তমান সময়সূচী নিয়েও নতুন করে ভাবা দরকার। বিশেষ করে, জন্মের পরপরই শিশুদের হেপাটাইটিস-বি টিকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। এছাড়াও, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক বিধি-নিষেধের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এর ফলে অনেক মানুষের জীবনে খারাপ প্রভাব পড়েছে।
তবে, ডা. মিন্সের এই দৃষ্টিভঙ্গি অনেকের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞ তাঁর খাদ্য বিষয়ক পরামর্শের সঙ্গে একমত হলেও, ভ্যাকসিনের বিষয়ে তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন। তারা বলছেন, ভ্যাকসিনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডা. মিন্স প্রায়ই তাঁর বক্তব্যে বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংকট এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থার কথা উল্লেখ করেন। তিনি স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা সমাধানে আধ্যাত্মিকতার দিকেও গুরুত্ব দেন। তাঁর মতে, প্রত্যেক মানুষকে নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান হতে হবে এবং প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে।
ডা. কেইসি মিন্সের স্বাস্থ্য বিষয়ক ধারণাগুলো একদিকে যেমন প্রচলিত ধারণার বাইরে, তেমনি তা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তাঁর এই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি স্বাস্থ্যখাতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: