অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে তোলা একটি ছবি, যা এখন এক নারীর কাছে গভীর আবেগ আর বেদনার প্রতীক। ছবিটি তুলেছিলেন কারেন ওয়েইডেম্যান। তাঁর স্বামী, মাইকেল, বর্তমানে চতুর্থ স্তরের মেটাস্ট্যাটিক মেলানোমায় আক্রান্ত।
এই পরিস্থিতিতে, পুরনো একটি বাসের ভেতরের তাঁর স্বামীর ছবিটা যেন এক নতুন অর্থ বহন করে চলেছে।
২০২২ সালে, কারেন এবং তাঁর স্বামী পুরনো একটি ঐতিহ্যপূর্ণ গ্রাম, ওল্ড পেট্রি টাউনে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ব্রিসবেন সিটি কাউন্সিলের ১৯৬০ দশকের একটি পুরনো স্কুল বাস, যার নম্বর ছিল ৭৭, সেটির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার পরিকল্পনা করেন কারেন।
তাঁর আইফোন ১১ দিয়ে তোলা এই ছবিতে, বাসের ভেতরে পোজ দিয়েছিলেন মাইকেল। ছবি তোলার সময় কারেন চেয়েছিলেন ছবিতে কিছুটা বিষণ্ণতা ফুটিয়ে তুলতে, যা দর্শকদের মনে ভিন্ন অনুভূতি দেবে।
কারেন জানান, ছবি তোলার সময় তাঁর স্বামী সবসময়ই সহযোগিতা করেছেন। তিনি সবসময়ই তাঁর কাজে সমর্থন জুগিয়েছেন।
ছবি তোলার পর, তিনি ‘স্ন্যাপসিড’ অ্যাপ ব্যবহার করে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, ছবিটির অনুভূতি যেন বদলে গেছে। এখন যখন তিনি ছবিটির দিকে তাকান, তখন তাঁর চোখে জল আসে।
তিনি বলেন, “মনে হয় আমার স্বামী কাঁচের ওপাশে বন্দি, আমার কাছে আসার চেষ্টা করছেন, আর আমি তাঁকে আটকাতে পারছি না। যেন বাসটি চলতে শুরু করেছে, আর তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছে।”
ঐতিহ্যপূর্ণ এই গ্রামটি, যেখানে পুরনো বাড়িঘর আর বাজারের সমাহার, কারেন ও মাইকেলের কাছে ছিল প্রিয় একটি জায়গা। সেখানে নানা ধরনের খাবার পাওয়া যেত, যা তাঁদের মুগ্ধ করত।
এই ছবি, যা একসময় নিছক স্মৃতিচিহ্ন ছিল, আজ একটি কঠিন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। এটি ভালোবাসার গভীরতা, সমর্থন এবং জীবনের অনিশ্চয়তার এক মর্মস্পর্শী চিত্র।
তথ্য সূত্র: The Guardian