মেলবোর্নের বাসিন্দা আলিসিয়ার গল্প, যিনি সিডনিতে এক উৎসবের মধ্যে এলিসার সঙ্গে পরিচিত হন। ঘটনাচক্রে দুজনের আলাপ, এরপর প্রেম এবং অবশেষে একসঙ্গে পথচলার এক অসাধারণ কাহিনী এটি।
২০২৩ সালের ঘটনা, যখন আলিসিয়া সিডনিতে একটি উৎসবে যোগ দিতে যান। উৎসবের রঙিন পরিবেশে, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের মাঝে তাঁর আলাপ হয় এলিসার সঙ্গে।
এলিসা ছিলেন যেন এক ঝলমলে তারা, যাঁর উজ্জ্বল হাসি আর প্রাণবন্ততা আলিসিয়ার মন জয় করে নেয়। প্রথম দেখাতেই তারা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন।
কথাবার্তা, হাসি-ঠাট্টার মধ্যে কেটে যায় উৎসবের কয়েকটা দিন। এরপর দু’জনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হতে থাকে, যা ধীরে ধীরে গভীর প্রেমে রূপ নেয়।
প্রথমদিকে, দূরত্বের কারণে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন ছিল। কিন্তু ভালোবাসার টানে, আলিসিয়া সিডনিতে ফিরে যান এলিসার কাছে।
একদিন সন্ধ্যায়, এলিসার বাড়িতে বসে আলিসিয়া শোনেন এলিসার পিয়ানো বাজানো এবং গান। অ্যাডেলের ‘ওয়ান অ্যান্ড অনলি’ গানের সুরে যেন তারা দু’জন এক ভিন্ন জগতে হারিয়ে যান।
সেদিনই আলিসিয়া অনুভব করেন, এলিসার প্রতি তাঁর ভালোবাসার গভীরতা। এরপর, তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা আরও বাড়ে।
দু’জনের শহর আলাদা হলেও, তাঁরা একে অপরের সঙ্গে দেখা করার জন্য অস্থির হয়ে উঠতেন। আলিসিয়া মাঝেমধ্যে সিডনি যেতেন, আবার এলিসা আসতেন মেলবোর্নে।
ভালোবাসার এই পথচলায় তাঁরা ইউরোপ ভ্রমণে যান এবং একসঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো তাঁদের আরও কাছে নিয়ে আসে।
ভ্রমণ শেষে তাঁরা বুঝতে পারেন, আলাদা থাকা তাঁদের জন্য সম্ভব নয়। তাই, তাঁরা মেলবোর্নে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
এখন, তাঁরা একই শহরে থাকেন, একসঙ্গে গান করেন এবং তাঁদের ভালোবাসার গল্প আজও চলছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান