নতুন সম্পর্ক গড়ার পর আর্থিক বিষয়গুলো কীভাবে সামলানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা যাক। সম্পর্কের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, আর্থিক বিষয়গুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বিভিন্ন দম্পতি তাঁদের নিজস্ব উপায়ে এই বিষয়গুলো মোকাবেলা করেন। কেউ হয়তো তাঁদের সমস্ত আয় একসাথে করেন, আবার কারো হিসাব থাকে আলাদা।
সম্প্রতি, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে আর্থিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি, আর্থিক বিষয়ে জ্ঞান এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়—এগুলো এখন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার প্রধান বিষয়।
অনেক দম্পতি এখন আর আগের মত সবকিছু একসঙ্গে রাখেন না।
আর্থিক বিষয়গুলো কিভাবে একটি সম্পর্কে প্রভাব ফেলে, তা কয়েকটি উদাহরণের মাধ্যমে বোঝা যেতে পারে। ম্যানচেস্টারের শিক্ষক লরা এবং তাঁর স্বামী শুরুতে দুজনেই প্রায় একই পরিমাণ আয় করতেন।
তাঁরা বিল ভাগ করে দিতেন এবং তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ছিল আলাদা। কিন্তু বিয়ের পর যখন তাঁরা ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
লরার আয় বেশি হলেও তাঁর স্বামীর পরিবার ফ্ল্যাটের জন্য কিছু টাকা দেয়। ফলে, কার কত অংশ সম্পত্তির মালিক হবে, সেই হিসাব নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।
লরা যখন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন, তখন তাঁর স্বামীই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।
আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা ও বোঝাপড়া সম্পর্কের উন্নতিতে সাহায্য করে। অনেক দম্পতি মনে করেন, একসঙ্গে সবকিছু মিটিয়ে ফেলাটাই ভালো।
কারণ এতে সম্পর্কের মধ্যে কোনো সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আবার, অনেকেই তাঁদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য আলাদা হিসাব রাখতে পছন্দ করেন।
তবে, এই ধরনের ব্যবস্থা তখনই সফল হয়, যখন দুজনেই প্রায় একই পরিমাণ আয় করেন এবং আর্থিক সঙ্কট থাকে না।
তবে, আয়ের তারতম্য থাকলে অনেক সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারো যদি বেশি আয় থাকে, তবে তিনি সঙ্গীকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে পারেন, যা সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
কেউ কেউ এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তাঁরা হয়তো তাঁদের সঙ্গীর জীবনযাত্রার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেন না বা নিজেদের জন্য সঞ্চয় করতে পারেন না।
আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং খোলামেলা আলোচনা সম্পর্কের গভীরতা বাড়ায়। এটি একে অপরের প্রতি বিশ্বাস তৈরি করতে সাহায্য করে।
তাই, সম্পর্কের ক্ষেত্রে আর্থিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা এবং একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।
তথ্য সূত্র: The Guardian