পুরুষ এবং নারীর দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে এই সম্পর্কে ভাটা পড়ে, যা দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ডেকে আনে।
সম্প্রতি, একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীর যৌন জীবনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা নিয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তাদের আট বছরের বিবাহিত জীবনে হঠাৎ করেই স্ত্রীর এই পরিবর্তনে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
ওই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, তার স্ত্রী কোনো নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেননি। তিনি স্ত্রীর কাছে অন্য কোনো পুরুষের প্রতি আকর্ষণ আছে কিনা জানতে চাইলে, তিনি ‘না’ সূচক জবাব দেন।
এমনকি, তাদের সম্পর্কের মাঝে কোনো সমস্যা আছে কিনা জানতে চাওয়া হলেও, তিনি জানান, তাদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য নেই। তবে, তিনি এখন আর শারীরিক সম্পর্ক রাখতে চান না।
তিনি স্বামীর কাছে একজন ‘নিঃসঙ্গ সঙ্গী’ হিসেবে থাকতে চান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে একটি প্রধান কারণ হতে পারে মেনোপজ বা ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া। মেনোপজ নারীর শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ঘটে এবং এর প্রভাবে যৌন জীবনে আগ্রহ কমে যেতে পারে।
এছাড়াও, যোনি পথে শুষ্কতা ও যৌন মিলনে ব্যথার মতো শারীরিক সমস্যাগুলোও এক্ষেত্রে দায়ী হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, স্বামীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তার সমস্যাগুলো বোঝার চেষ্টা করা। স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে তার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে।
প্রয়োজনে, স্ত্রীর ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্টে যাওয়া এবং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, এক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের কারণগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে।
এক্ষেত্রে, হরমোন থেরাপির মতো কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, যা স্ত্রীর যৌন আকাঙ্ক্ষা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। তবে, এই ধরনের চিকিৎসা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া উচিত।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে, দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে, স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া, তার শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের কারণগুলো বোঝা এবং একসঙ্গে একটি সমাধানে আসার চেষ্টা করা অত্যন্ত জরুরি।
এছাড়াও, প্রয়োজন অনুযায়ী অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান