ডিক’স স্পোর্টিং গুডস কিনছে ২.৪ বিলিয়ন ডলারে ফুট লকার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ ক্রীড়া সামগ্রী বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ডিক’স স্পোর্টিং গুডস, বিশ্বজুড়ে পরিচিত জুতার দোকান ফুট লকারকে ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে কিনে নিচ্ছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ডিক’স আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের ব্যবসা আরও প্রসারিত করতে চাইছে।
ফুট লকার, যা একসময় জুতার বাজারের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল, সম্প্রতি বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। একদিকে যেমন অনলাইন বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা, তেমনই যুক্তরাষ্ট্রের কেনাকাটার কেন্দ্র বা শপিং মলগুলোর গুরুত্ব হ্রাস পাওয়ায় তাদের বিক্রি কমেছে। এমনকি, তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নতুন ব্র্যান্ড তৈরি করেও তারা সফল হয়নি। জানা গেছে, ২০২৩ সালে ফুট লকারের প্রায় ৩,০০০ দোকান ছিল, কিন্তু তাদের অনেক শাখা বন্ধ করতে হয়েছে।
এই চুক্তির ফলে ডিক’স-এর জন্য কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। জুতা শিল্পে শুল্কের কারণে দাম বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে, যা তাদের ব্যবসার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া প্রায় ৯৯ শতাংশ জুতা চীন এবং ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা হয়।
ডিক’স কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই চুক্তির ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। তাদের মতে, ফুট লকারের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজেদের কৌশল যোগ করে তারা এই ব্যবসা আরও বাড়াতে পারবে। তবে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই চুক্তি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। খবর প্রকাশের পর, ডিক’স স্পোর্টিং গুডসের শেয়ারের দাম ১৩ শতাংশ কমে যায়। অন্যদিকে, ফুট লকারের শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা এই চুক্তির প্রতি বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিক’স-এর এই পদক্ষেপ তাদের ব্যবসার প্রসারে সাহায্য করতে পারে। ফুট লকারের দোকানগুলো তাদের ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে এবং বাজারের আরও গভীরে প্রবেশ করতে সহায়তা করবে। তবে, ডিক’স-এর বাজারে আধিপত্যের কারণে এই চুক্তি নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারিতেও পড়তে পারে।
এই চুক্তির ফলে বিশ্বজুড়ে জুতা ব্যবসার বাজারে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং শুল্ক নীতির পরিবর্তন এই ব্যবসার ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করবে। এখন দেখার বিষয়, ডিক’স তাদের এই নতুন বিনিয়োগ থেকে কতটা লাভবান হতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন