একটি পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তির দাম্পত্য জীবনের একটি বিশেষ দিক নিয়ে আলোচনা করা যাক। জীবনের এই পর্যায়ে এসে অনেক দম্পতি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন, যেখানে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি, এমন একটি ঘটনার কথা জানা গেছে, যেখানে একজন ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে একটি বিষয়ে মনোমালিন্যে ভুগছেন।
ওই ব্যক্তির বয়স ষাটের কোঠায় এবং তিনি ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিবাহিত। তিনি সম্ভবত উভকামী (bisexual) হিসেবে নিজেকে চিহ্নিত করেন, কিন্তু এই বিষয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি।
প্রায় দুই বছর আগে, তাঁর স্ত্রী তাঁকে তাঁর কিছু অন্তর্বাস পরতে দেখেন, যা তিনি মাঝে মাঝে উপভোগ করেন। এই ঘটনাটি তাঁর স্ত্রীর কাছে উদ্বেগের কারণ হয় এবং তিনি পরামর্শ দেন যে স্বামীর কাউন্সেলিং করানো উচিত।
এই মন্তব্যের কারণে লোকটি অত্যন্ত লজ্জিত এবং অপমানিত বোধ করেন।
এরপর তিনি স্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর স্ত্রী এই বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি হননি।
এই পরিস্থিতিতে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন এবং বুঝতে পারেন না কী করবেন।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং খোলামেলা আলোচনা করা।
অনেক সময়, সঙ্গীর কিছু আচরণ আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত মনে হতে পারে, যা আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, প্রত্যেকের নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ থাকতে পারে, যা তাঁদের ব্যক্তিগত অনুভূতির সঙ্গে জড়িত।
এই ক্ষেত্রে, স্বামীর অনুভূতিকে বোঝার চেষ্টা করা জরুরি। তাঁর এই ধরনের পোশাক পরার কারণগুলো হতে পারে এবং এর পেছনের আবেগগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা দরকার।
একইসঙ্গে, স্ত্রীর উদ্বেগকে সম্মান জানানোও প্রয়োজন। উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব।
যদি সরাসরি আলোচনা ফলপ্রসূ না হয়, তবে একজন পেশাদার পরামর্শদাতার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। একজন থেরাপিস্ট (therapist) দম্পতির মধ্যেকার ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে এবং তাঁদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হতে পারেন।
কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে, স্বামী তাঁর ভেতরের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে পারবেন এবং স্ত্রী তাঁর স্বামীর আচরণ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
মনে রাখতে হবে, দাম্পত্য জীবনে উত্থান-পতন আসতেই পারে। তবে আলোচনা, সহানুভূতি এবং ধৈর্য্যের মাধ্যমে যে কোনও সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: The Guardian