পাকিস্তান সুপার লিগের (PSL) ২০২৩ সালের ফাইনালে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাহোর কালান্দার্স। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজার অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।
ম্যাচ জেতানো ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে নিজের নাম লেখান। রবিবার সন্ধ্যায় ফাইনালের জন্য টসের ১০ মিনিট আগেও রাজার নাম ছিল না লাহোর কালান্দার্সের একাদশে।
তিনি শনিবার পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের হয়ে টেস্ট খেলছিলেন। এরপর ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি তিনি পাকিস্তানে এসে দলের সঙ্গে যোগ দেন।
পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখার পর ৭ বলে ১টি উইকেট নিয়ে ২২ রান করেন রাজা। দলের জয়ের জন্য লাহোরকে ২০২ রান তাড়া করতে হয়েছিল এবং হাতে ছিল একটি বল।
লাহোরের এই রান তাড়ার মূল ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন কুশল পেরেরা। তার ৬২ রানের ইনিংসের পাশাপাশি মোহাম্মদ নাঈম ও আব্দুল্লাহ শফিকও দলের জয়ে অবদান রাখেন।
তবে সবার নজর ছিল রাজার দিকে। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে রাতের খাবার খেয়ে, দুবাইয়ে প্রাতঃরাশ সেরে, আবুধাবিতে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর তিনি সরাসরি লাহোরে এসে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
ম্যাচ শেষে রাজা বলেন, “এমন একটা জয়, আমার কাছে শব্দ নেই।” এর আগে, কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান সংগ্রহ করে।
দলের হয়ে হাসান নাওয়াজ ৪৩ বলে ৭৬ রান করেন। ফাহিম আশরাফ ৮ বলে করেন ২৮ রান।
লাহোরের বোলারদের মধ্যে শাহীন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন।
ম্যাচে অসাধারণ ইনিংস খেলার জন্য কুশল পেরেরা ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। অন্যদিকে, পুরো টুর্নামেন্টে ৩৯৯ রান করে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের খেতাব জেতেন হাসান নাওয়াজ।
এই জয়ের ফলে লাহোর কালান্দার্স চার বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো পিএসএল শিরোপা জিতল। এর আগে, শাহীন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বেই তারা আরও দুটি শিরোপা জিতেছিল।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা