এলোন মাস্ক, প্রযুক্তি বিশ্বের পরিচিত এক নাম, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত একটি বিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মাস্কের মতে, এই বিলটি দেশের বাজেট ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দেবে এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কাজকে ব্যাহত করবে।
ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা মূলত বিশাল অঙ্কের কর ছাড় এবং সামরিক খাতে ব্যয়ের প্রস্তাবনা নিয়ে গঠিত। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পুষ্টির মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরকারি প্রকল্পে পরিবর্তনেরও প্রস্তাব রয়েছে।
কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের (Congressional Budget Office) হিসাব অনুযায়ী, এই বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতিকে প্রায় ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪১০ লক্ষ কোটি টাকার সমান) পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে।
মাস্কের উদ্বেগের কারণ হলো, তিনি মনে করেন এই বিলটি সরকারের কিছু বিভাগের কর্মপরিবেশকে দুর্বল করবে। তিনি বিশেষভাবে ‘ডগ’ (DOGE) নামক একটি দলের কাজের কথা উল্লেখ করেছেন, যাদের উপর এই বিলের প্রভাব পড়তে পারে।
মাস্কের মতে, বর্তমানে ‘ডগ’-কে প্রায়ই বিভিন্ন ঘটনার জন্য দোষারোপ করা হচ্ছে, এমনকি যেগুলোর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে মাস্ক জানিয়েছেন, তিনি ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আগের চেয়ে কম অর্থ ব্যয় করবেন। যদিও তিনি ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এর আগে, তিনি ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান দলের প্রার্থীদের নির্বাচনে জেতাতে প্রায় ২৯০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩,১৩০ কোটি টাকা) খরচ করেছিলেন। এছাড়াও, তিনি উইসকনসিন সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্বাচনেও ২০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন, যেখানে তার পছন্দের প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেননি।
মাস্কের এই মন্তব্যের পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন যে স্পেসএক্স (SpaceX) এবং টেসলার (Tesla) মতো তার কোম্পানিগুলোর দিকে তিনি বেশি মনোযোগ দেবেন। সম্প্রতি তিনি স্বীকার করেছেন যে, গত বছর তিনি সম্ভবত রাজনীতিতে কিছুটা বেশি সময় দিয়েছেন, যার ফলস্বরূপ কোম্পানিগুলোর কাজে মনোযোগের অভাব হয়েছে।
তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি কোম্পানিগুলোর কাজ থেকে দূরে যাননি, বরং সময় বিভাজনে পরিবর্তন এনেছেন।
এই খবর আন্তর্জাতিক অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে, যার প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও।
যেকোনো দেশের আর্থিক নীতি, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহৎ অর্থনীতির, বিশ্ব অর্থনীতির উপর গভীর প্রভাব ফেলে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন