1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 9, 2025 9:12 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
ঈদের ছুটিতে হাজারো পর্যটক দর্শনার্থীদের ভীড়ে মুখর সাগরকন্যা কুয়াকাটা কাপ্তাইয় তৃতীয় দিনে বিনোদন কেন্দ্রে উপচে পড়া ভীড়  কাপ্তাই শিলছড়ি হাজির টেক শত্রুতার জেরে ঘরে আগুন কাপ্তাইয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি  ইউসুফের দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ  দুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ১০আর ই ব্যারালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ  চিৎমরম বন্যহাতি  ধারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের আর্থিক অনুদান প্রদান  কাউখালীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত কাউখালী ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি পূণ:নির্মানের দাবীতে মানববন্ধন কাপ্তাইয়ে বিশ্বাস তামাক দিবস উদযাপন  কাউখালী হাসপাতালে দুস্থ রোগীদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ

কেনিয়ার চার্চে ‘মৃত্যু উপাখ্যান’: গোপন কবর, ভয়ঙ্কর কায়দা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Friday, May 30, 2025,

পশ্চিম আফ্রিকার কেনিয়ার একটি চার্চে গোপন কবর এবং ‘ধর্মীয় গোঁড়ামি’ চর্চার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করেছে এবং দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

এই ঘটনার পর, কেনিয়ার কর্তৃপক্ষ অনিবন্ধিত চার্চগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।

কেনিয়ার মিগোরি কাউন্টির একটি প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত মেলকিয়ো সেন্ট জোসেফ মিশন্স অফ মেসিয়াহ চার্চ ইন আফ্রিকা-র বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২১শে এপ্রিল পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।

অভিযানে পুলিশ সদস্যরা বেশ কয়েকজন সদস্যকে উদ্ধার করে এবং দুটি মৃতদেহ খুঁজে পায়। এছাড়াও, চার্চের ভেতরে থাকা কয়েক ডজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মৃতদেহগুলির মধ্যে একজন ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল দান আয়ো ওবুরা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই চার্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

ওবুরার পরিবার জানায়, তিনি অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ছুটিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি নিখোঁজ হন। পরে তারা জানতে পারেন যে, চার্চে তার মৃত্যু হয়েছে এবং সেখানেই তাকে কবর দেওয়া হয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা এখন ওবুরার মৃতদেহ ফেরত পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই চার্চের সদস্যরা বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতেন। তাদের শিশুরা স্কুলে যেত না এবং অসুস্থ হলে চিকিৎসা করানোরও অনুমতি ছিল না।

চার্চের প্রধান নিজেকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করতেন এবং তার অনুসারীরা তাকে পূজা করত।

এই ঘটনার সঙ্গে ২০১৪ সালে কেনিয়ার শাকাখোলা জঙ্গলে সংঘটিত একটি ঘটনার মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর সদস্যরা অনাহারে মারা গিয়েছিল।

অভিযোগ ছিল, তাদের ফুসলিয়ে এই কাজ করানো হয়েছিল। মিগোরির ঘটনাটিও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কেনিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

তারা বলছেন, এই ধরনের ধর্মীয় গোঁড়ামি সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে এবং মানুষকে অন্ধবিশ্বাসের দিকে ঠেলে দেয়।

তারা আরও জানান, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।

কেনিয়ার সরকার ইতিমধ্যেই অনিবন্ধিত চার্চগুলির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান শুরু করেছে।

কর্তৃপক্ষের মতে, ধর্মীয় স্বাধীনতার নামে কোনো ধরনের অপকর্ম বরদাস্ত করা হবে না।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT