যুক্তরাষ্ট্রে জুন মাসে ভোক্তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক আস্থা কিছুটা বেড়েছে। গত ছয় মাসের মধ্যে এই প্রথমবার এমনটা দেখা গেল।
মূলত, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকা এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের কিছুটা অবসানের কারণে এই ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোক্তা আস্থা সূচকের প্রাথমিক ফলাফলে এই চিত্র উঠে এসেছে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভোক্তা আস্থা সূচক ১৬ শতাংশ বেড়ে ৬০.৫ হয়েছে। এর আগে, গত মাসে সূচকটি গত ৭৫ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল।
যদিও ডিসেম্বর ২০২৪ এর তুলনায় এখনো এই সূচক ২০ শতাংশ কম রয়েছে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপ পরিচালক জোয়ান হসু এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এপ্রিল মাসে উচ্চ শুল্ক ঘোষণার পর এবং পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে নীতিগত অস্থিরতা থেকে ভোক্তারা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছেন বলে মনে হচ্ছে।
তবে, তারা এখনো অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন।”
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করে, যার ফলে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়।
এর মধ্যে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আরও অনেক দেশ ছিল। তবে, এপ্রিল মাসে ট্রাম্প প্রায় ৬০টি দেশের ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন এবং গত মাসে চীনের সঙ্গে একটি সাময়িক বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছান।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এখনো ঐতিহাসিক গড়ের চেয়ে বেশি, তবে এর ফলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি বাড়েনি।
বাণিজ্য যুদ্ধ এবং এর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করেছে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের কারণ।
বাণিজ্য শুল্কের কারণে অনেক পণ্যের দাম বাড়ে, যা ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের এই আস্থা বৃদ্ধি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়।
তবে, বাণিজ্য যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান না হওয়া পর্যন্ত এই স্বস্তি কতটা টেকসই হবে, তা বলা কঠিন।
বাংলাদেশের অর্থনীতিও বিশ্ব বাজারের সঙ্গে জড়িত, তাই যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থনৈতিক সূচকের পরিবর্তন আমাদের দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস