ফসল ফলানোর নতুন স্বপ্নে: ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে বীজ থেকে চারা তৈরি
আমাদের দেশে বাগান করার চল এখন বাড়ছে। বাড়ির আঙিনা কিংবা ছাদে একটু সবুজের ছোঁয়া পেলে মনটা ভরে যায়। কিন্তু চারা তৈরি করা বেশ কঠিন মনে হয়, তাই না? আসলে, একটু বুদ্ধি খাটালে খুব সহজেই এই কাজটি করা যায়। আর এতে আপনার বাড়তি খরচও হবে না, বরং ফেলে দেওয়া জিনিস কাজে লাগিয়ে আপনি বীজ থেকে চারা তৈরি করতে পারেন।
বীজ থেকে চারা তৈরির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো উপযুক্ত পাত্র নির্বাচন করা। বাজারে চারা তৈরির জন্য নানা ধরনের ট্রে (tray) পাওয়া যায়, তবে আপনার হাতের কাছে থাকা অনেক কিছুই এক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। যেমন:
এই ধরনের ছোট পাত্র ব্যবহার করার কারণ হলো, চারাগুলো যখন একটু বড় হবে, তখন তাদের মূল বা শিকড় মাটির গভীরে যেতে শুরু করবে। ছোট পাত্রে চারা তৈরি করলে গাছের গোড়া পচে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়াও, ছোট পাত্রে অল্প পরিমাণে মাটি লাগে, যা আপনার খরচ বাঁচায়। চারা বড় হয়ে গেলে, এই পাত্রসমেত গাছটিকে অন্য বড় পাত্রে প্রতিস্থাপন (transplant) করতে পারেন। কাগজের তৈরি টব হলে, সেটি সরাসরি মাটিতে পুঁতে দেওয়া যায়, যা গাছের জন্য ভালো।
চারা তৈরির জন্য উপযুক্ত মাটি (soil) নির্বাচন করাও জরুরি। বাজারে বীজ থেকে চারা তৈরির জন্য বিশেষ মাটি পাওয়া যায়। এই মাটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে, সবসময় এই মাটি পাওয়া নাও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে, কোকোপিট (coco peat), সামান্য কম্পোস্ট (compost) এবং বালি মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে পারেন। খেয়াল রাখবেন, বাগানের সাধারণ মাটি ব্যবহার করলে গাছের ক্ষতি হতে পারে।
বাংলাদেশে সাধারণত শীতকালে বীজ থেকে চারা তৈরির উপযুক্ত সময়। এই সময়ে আবহাওয়া চারা গাছের জন্য অনুকূল থাকে। আপনার বাগানে ফুল ও ফলের গাছ লাগানোর পরিকল্পনা থাকলে, এই পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজেই চারা তৈরি করতে পারেন।
উপরের পরামর্শগুলো অনুসরণ করে আপনিও আপনার বাড়ির জন্য চারা তৈরি করতে পারেন। আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করুন!
তথ্য সূত্র: জেসিকা দামিয়ানো, এসোসিয়েটেড প্রেসের (Associated Press) একটি নিবন্ধের উপর ভিত্তি করে।