মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা (আইআরএস) তাদের কর্মী সংখ্যা অর্ধেকের বেশি কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। এই খবরটি বর্তমানে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ৪৫ হাজার কর্মীর চাকরি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকারের কর্মসংস্থান বিষয়ক একটি নতুন নীতির অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যেখানে কর্মীদের ছাঁটাই, স্বাভাবিক অবসরের সুযোগ এবং স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের আকার ছোট করার লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
আইআরএস-এর প্রাক্তন কমিশনার জন কোসকিনেন এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, কর্মী ছাঁটাইয়ের ফলে এই সংস্থাটি কার্যকারিতা হারাবে, যা কর সংগ্রহের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজকে ব্যাহত করবে। বর্তমানে, আইআরএস-এ প্রায় ৯০ হাজার কর্মী কাজ করেন, যাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ সংখ্যালঘু এবং ৬৫ শতাংশ নারী।
এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রায় ৭ হাজার শিক্ষানবিশ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে, যাদের চাকরির বয়স এক বছর বা তার কম ছিল। এছাড়াও, কর্মীদের জন্য “স্বেচ্ছায় পদত্যাগ কর্মসূচি” চালু করা হয়েছে। তবে, ২০২৫ সালের কর মৌসুমে কাজ করা কর্মীদের জন্য এই অফারটি মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
শুধু কর্মী ছাঁটাই নয়, অভিবাসন বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইআরএস কর্মীদের স্বরাষ্ট্র বিভাগে (ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) পাঠানোরও পরিকল্পনা রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে স্বরাষ্ট্র সচিব ক্রিস্টিনা নয়েম, ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টকে চিঠি লিখে অভিবাসন বিষয়ক অভিযানে সহায়তার জন্য আইআরএস কর্মী চেয়েছেন।
কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, আইআরএস-এর সম্পদ হ্রাস করা হলে সরকারের কর সংগ্রহ কার্যক্রম দুর্বল হয়ে পড়বে। তবে, হোয়াইট হাউস এখনো এই পরিকল্পনা অনুমোদন করেনি এবং এটি কত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে, সে বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস