ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে একটি বিতর্কিত শিল্প প্রদর্শনী থেকে তিনটি শূকরছানা চুরি হয়ে গেছে।
শিল্পী মার্কো এভারিস্ট্টির এই প্রদর্শনীটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়, যেখানে শূকরছানাগুলোকে অনাহারে রেখে তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
শিল্পী জানান, এর মাধ্যমে তিনি বৃহৎ পশু উৎপাদন শিল্পে প্রাণীদের প্রতি হওয়া নিষ্ঠুরতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে চেয়েছিলেন।
প্রদর্শনীটির নাম ছিল ‘এন্ড নাও ইউ কেয়ার’ (And Now You Care)।
যেখানে শপিং কার্টের খাঁচায় রাখা শূকরছানাগুলোকে খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়নি।
খবর অনুযায়ী, লুসিয়া, সাইমন এবং বেঞ্জামিন নামের শূকরছানাগুলোকে শনিবার রাতে কিছু প্রাণী অধিকার কর্মী সরিয়ে নেয়, যাদের সহায়তা করেন শিল্পীর বন্ধু কাসপার স্ট্যাফেনসেন।
স্ট্যাফেনসেনের ১০ বছর বয়সী মেয়ে তাকে শূকরছানাগুলোর জীবন বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করেছিল।
এভারিস্ট্টি জানান, তিনি প্রথমে বিষয়টি পুলিশে জানালেও পরে শূকরছানাগুলোর ভালো জীবন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনার পর তিনি ঘৃণা-ভরা বার্তা পেয়েছেন।
ডেনমার্কের পশু সুরক্ষা বিষয়ক সংস্থা ‘অ্যানিম্যাল প্রোটেকশন ডেনমার্ক’ (Animal Protection Denmark) জানিয়েছে, ডেনিশ শূকর শিল্পে একটি স্ত্রী শূকর প্রায় ২০টি পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করে, কিন্তু তাদের দুধের জন্য ১৪টির বেশি বাঁট থাকে না।
ফলে অনেক বাচ্চাই পর্যাপ্ত দুধ না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে।
এদিকে, শূকরছানা চুরি যাওয়ার পর এভারিস্ট্টি প্রদর্শনীটি নতুন করে সাজানোর কথা ভাবছেন।
তার পরিকল্পনা হলো, মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র থেকে মৃত শূকরছানা সংগ্রহ করে তা জনসাধারণের সামনে উপস্থাপন করা।
এছাড়াও, তিনি আরও তিনটি শূকরছানা কিনে তাদের ভালো জীবন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিলামে তোলারও চিন্তা করছেন।
অন্যদিকে, প্রাণী অধিকার সংগঠনগুলো এই প্রদর্শনীর সমালোচনা করে বলেছে, সচেতনতা বাড়ানোর এই উদ্যোগ ভালো, তবে তারা কোনো প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতাকে সমর্থন করে না।
কোপেনহেগেন পুলিশ জানিয়েছে, তারা শূকরছানা চুরির অভিযোগ পেয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।