পোপ ফ্রান্সিসের স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, শনিবার পরবর্তী আপডেটের সম্ভাবনা
৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাঁর ফুসফুসে প্রদাহ বা নিউমোনিয়ার চিকিৎসা চলছে। তবে, উদ্বেগের বিষয় হলো তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও চিকিৎসকেরা এখনও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ভ্যাটিকান সিটি থেকে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, পোপের শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো অবনতি হয়নি। জ্বর বা শ্বাসকষ্টের নতুন কোনো সমস্যাও দেখা যায়নি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক স্থিতিশীলতার কারণে আগামী শনিবারের আগে নতুন কোনো স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রকাশের সম্ভাবনা নেই।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পোপ বর্তমানে হাসপাতালে থেকেই তাঁর দৈনন্দিন কাজকর্ম করছেন। শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন এবং প্রার্থনাতেও মগ্ন থাকছেন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত থেরাপি চলছে। রাতে ঘুমের সময় ফুসফুসের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে একটি বিশেষ মাস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে এবং দিনের বেলায় তিনি নাকের মাধ্যমে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন গ্রহণ করছেন।
পোপের অসুস্থতার কারণে চলতি মাসের শুরুতে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ‘লেণ্ট’ শুরু হওয়ার প্রাক্কালে তিনি সরাসরি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। তবে, ভ্যাটিকান জানিয়েছে, তিনি বুধবার রোগীদের কপালে ছাই লেপন করার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন এবং গাজার একজন পাদ্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
পোপের অনুপস্থিতিতে কার্ডিনাল অ্যাঞ্জেলো ডি ডোনাটিস এক বিশেষ প্রার্থনাসভার নেতৃত্ব দেন। তিনি পোপের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বলেন, “আমরা সবাই এই মুহূর্তে তাঁর সঙ্গে আছি এবং তাঁর প্রার্থনা ও কষ্টের জন্য ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।”
সাধারণত, ‘লেণ্ট’ শুরু হওয়ার আগের দিন ছাইয়ের চিহ্ন মানুষের কপালে এঁকে দেওয়া হয়, যা নশ্বরতা এবং পাপের প্রতীক। এটি খ্রিস্টানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন তাঁরা আত্ম-অনুসন্ধান, উপবাস ও ত্যাগের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি নিজেদের সমর্পণ করেন।
পোপের শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসন্ন সপ্তাহান্তে ভ্যাটিকানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর একটি আধ্যাত্মিক আলোচনা সভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তিনি তাতে অংশ নিতে পারছেন না। তবে, ওই সভাটি পূর্বনির্ধারিত ‘চিরন্তন জীবনে আশা’ শীর্ষক আলোচনার ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে এবং এতে পোপের ‘আধ্যাত্মিক উপস্থিতি’ থাকবে বলে জানা গেছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস