1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 15, 2025 1:55 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
বিদেশ ভ্রমণে প্রথমবার? এই ১০টি জিনিস সাথে নিন, যা আপনার জীবন বদলে দেবে! ইংল্যান্ডের ম্যানেজার হয়েই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন টমাস টুখেল! ফর্মুলা ওয়ানের ঝলমলে প্রত্যাবর্তন: মেলবোর্নে উন্মাদনা! বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ: জাতিসংঘের জরুরি পদক্ষেপের ঘোষণা! ক্যাপেলোর মন্তব্যে খেপে আগুন গার্দিওলা! বোমা ফাটালেন? যুদ্ধ শেষের সুবর্ণ সুযোগ! দ্রুত শান্তি ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চাইলেন জেলেনস্কি ইংল্যান্ড দলে টুখেলের নতুন চমক: প্লেয়ার বাছাইয়ে যা হলো! অস্ট্রেলিয়ায় ওরাংওট শাবক নিয়ে মার্কিন প্রভাব বিস্তারকারীর কাণ্ড! অতঃপর… গ্যালোপিনকে হারিয়ে সোনার দৌড় জয়, ইনোদেওয়েউরথিংকিন কি গ্র্যান্ড ন্যাশনালও জিতবে? ছিপস নয়, এবার গাঙচিলের খাবারে চমক!

নদীতে ভেসে ওঠা গাড়ি, ১৯৬০ সালে নিখোঁজ পরিবারের রহস্য?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Saturday, March 8, 2025,

হারিয়ে যাওয়া পরিবারের সন্ধানে: ৫৮ বছর পর কলাম্বিয়া নদী থেকে উঠল গাড়ি, মিলতে পারে রহস্যের কিনারা

যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া নদী থেকে একটি গাড়ির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৫৮ সালে বড়দিনের জন্য সবুজ পাতা সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া পাঁচ সদস্যের একটি পরিবারের গাড়ি এটি। দীর্ঘ ৫৮ বছর পর গাড়িটি পাওয়ার ফলে পরিবারটির ভাগ্যে কী ঘটেছিল, তা জানার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উদ্ধার হওয়া গাড়িতে মানুষের কোনো দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি।

১৯৫৮ সালের ৭ই ডিসেম্বর কেন ও বারবারা মার্টিন এবং তাদের তিন মেয়ে—বারবারা, ভার্জিনিয়া ও সু—বড়দিনের জন্য সবুজ পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। এরপর তারা আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারটির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা সেসময় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। পরিবারটির সন্ধান পেতে সেসময় ১০০০ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গাড়িটি সম্ভবত কেন মার্টিনের। কারণ গাড়ির রং, মডেল ও আকার মার্টিন পরিবারের গাড়ির মতোই। পরিবারটি গ্যাস কেনার জন্য ক্যাসকেড লকস-এর কাছে একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছিল, যা তাদের গতিবিধির একটি সূত্র দিয়েছিল। নিখোঁজ হওয়ার কয়েক মাস পর পরিবারের দুই মেয়ের মরদেহ নদীতে পাওয়া গিয়েছিল। সবার ছোট মেয়ে সুসানের মৃতদেহ কলাম্বিয়া নদীর একটি খাঁড়িতে ভেসে উঠেছিল। এরপর ভার্জিনিয়ার দেহ পাওয়া যায় তার বোনের স্থান থেকে প্রায় ২৫ মাইল দূরে।

গাড়িটি উদ্ধারের কাজটি সহজ ছিল না। প্রথমে পানির নিচে থাকা গাড়ির অবস্থান শনাক্ত করতে হয়। এরপর ক্রেনের সাহায্যে সেটি তোলার জন্য কয়েক দিন ধরে চেষ্টা চালানো হয়। গাড়িটি যখন তোলা হচ্ছিল, তখন এর কাঠামো ভেঙে যায়।

এই গাড়ির সূত্র ধরে মার্টিন পরিবারের নিখোঁজ হওয়ারহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চলছে। গাড়িটির ইঞ্জিন ও চেসিসের নম্বর শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটি মার্টিন পরিবারেরই গাড়ি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গাড়ির বাকি অংশ আপাতত নদীর নিচেই থাকবে।

গাড়িটি খুঁজে পাওয়ার পেছনে রয়েছে আর্চার মায়ো নামে এক ডুবুরীর সাত বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম। মায়ো দীর্ঘদিন ধরে নদীতে ডুবে যাওয়া জিনিস খুঁজে বের করার কাজ করেন। তিনিই গত বছর গাড়ির সম্ভাব্য অবস্থান চিহ্নিত করেন এবং ডুব দিয়ে সেটিকে খুঁজে পান। মায়ো জানিয়েছেন, তিনি সেখানে আরও কয়েকটি গাড়ি খুঁজে পেয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে হুড রিভার কাউন্টি শেরিফের ডেপুটি পিট হিউজ বলেন, “এই ঘটনাটি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে বহু বছর ধরে চলা একটি মামলার জট খোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT