ছুটির দিন ঘনিয়ে আসছে, আর এই সময়ে ঘুমের সময়সূচী এলোমেলো হয়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। যারা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়াটা জরুরি।
সম্প্রতি, সিএনএন (CNN)-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ঘুমের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. রাজ দাশগুপ্ত এই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।
যদিও আমাদের দেশে ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তনের চল নেই, কিন্তু জীবনযাত্রার কারণে ঘুমের সময় পরিবর্তনে সমস্যা হতেই পারে। তাই চলুন, জেনে নেওয়া যাক ঘুমের এই গোলমাল থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায়।
ডা. দাশগুপ্তের মতে, ঘুমের সময়সূচী পরিবর্তনের সেরা উপায় হলো ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হওয়া। যদি সম্ভব হয়, কয়েক দিন আগে থেকেই প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট করে ঘুমের সময় এগিয়ে আনা যেতে পারে।
তবে, হাতে সময় কম থাকলে ঘড়ি পরিবর্তনের দিনটিতেই ঘুমের সময় স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতে যাওয়া যেতে পারে।
সময় পরিবর্তনের কারণে শরীরে যে পরিবর্তনের সৃষ্টি হয়, তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। সকালে ঘুম থেকে উঠে সূর্যের আলোতে কিছুক্ষণ থাকার চেষ্টা করুন।
এতে ঘুম ভালো হয় এবং শরীর সতেজ থাকে। এছাড়াও, দিনের বেলা ভারী কাজ করা বা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এড়িয়ে চলুন। সময় পরিবর্তনের প্রথম কয়েক দিন হালকা খাবার গ্রহণ করা ভালো।
ঘুমের স্বাস্থ্য বা ‘স্লিপ হাইজিন’-এর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ঘুমানোর আগে ক্যাফিন ও অ্যালকোহল গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার গ্রহণ করুন এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন। রাতে ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
ঘুমের সময়সূচী নিয়মিতভাবে বজায় রাখুন, এমনকি ছুটির দিনগুলোতেও।
ডা. দাশগুপ্ত শিশুদের ঘুমের সময়সূচী ঠিক রাখতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। শিশুদের মেজাজ পরিবর্তন হতে পারে, তাই তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে।
তাদের পর্যাপ্ত ঘুমের সুযোগ দিন। ঘুমানোর আগে ঘরের পরিবেশ শান্ত ও অন্ধকার রাখতে পারেন।
ডা. দাশগুপ্ত ঘুমের গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ঘুম আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
ঘুমের সময় শরীর ও মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। পর্যাপ্ত ঘুম হৃদরোগ ও হতাশার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ করতে সহায়ক। তাই ঘুমের বিষয়ে সচেতন হওয়া এবং ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।
সুতরাং, ঘুমের সময়সূচী পরিবর্তনের এই সময়ে, ডা. দাশগুপ্তের পরামর্শগুলো অনুসরণ করে আমরা একটি সুস্থ জীবন যাপন করতে পারি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন