মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অস্ট্রেলিয়ার গরুর মাংস রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্ক নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ফাস্ট ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডসে বিক্রি হওয়া বার্গারের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ডন ফ্যারেল জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গরুর মাংসের একটি বড় অংশ সরবরাহ করে অস্ট্রেলিয়া।
তাই নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হলে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে মার্কিন ভোক্তাদের ওপর, বিশেষ করে যারা নিয়মিত ম্যাকডোনাল্ডসের বার্গার খেয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, শুল্ক আরোপের কারণে বার্গারের দাম বেড়ে গেলে তা মার্কিন জনগণের জন্য উদ্বেগের কারণ হবে।
এরই মধ্যে, অস্ট্রেলীয় সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর জন্য জোরালোভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফ্যারেল জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবেন এবং তাদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন যে এই ধরনের শুল্ক নীতি গ্রহণ করা সঠিক নয়।
বরং বাণিজ্য বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
তবে, অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রে যাননি।
তারা মনে করেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে সরাসরি আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিরোধী দলের মতে, এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর আরও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়ার জন্য গরুর মাংস, ভেড়া ও ছাগলের মাংসের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বাজার।
২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়া প্রায় ৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের গরুর মাংস ও অন্যান্য মাংসজাত পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে।
এই পরিমাণ ছিল ওই বছর অস্ট্রেলিয়ার মোট মাংস রপ্তানির প্রায় ৩০ শতাংশ।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক আরোপ হলে তা শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান