ডলার জেনারেলের তথ্য অনুযায়ী, কম আয়ের আমেরিকানদের আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে এবং অনেক ক্রেতা এখন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে, ট্রাম্পের শুল্কনীতি এবং এর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর আগের মেয়াদের মতোই, আবার শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে এসেছেন। তাঁর এই পদক্ষেপ মেক্সিকো, কানাডা এবং চীনের মতো প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদারদের লক্ষ্য করে নেওয়া হয়েছে। যদিও এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন নিয়ে ইতোমধ্যেই অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এই শুল্কনীতির কারণে আমেরিকান ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, এমন একটা সময়ে যখন দেশটির অর্থনীতি কিছুটা দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের নীতি আমেরিকার অর্থনীতিকে আরও কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
এদিকে, ওয়াল স্ট্রিট ট্রাম্পের এই অস্থির অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কারণে বেশ উদ্বিগ্ন। বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে থাকায় সোনার দাম নতুন করে বেড়ে ৩,০০০ ডলারে পৌঁছেছে। ভোক্তাদের আস্থা কমে গিয়ে গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
এই শুল্কনীতি গাড়ি নির্মাণ শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। নতুন গাড়ি তৈরি এবং কেনার খরচ কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, গাড়ি নির্মাতারা যদি তাঁদের উৎপাদন কারখানা আমেরিকায় সরিয়ে নেন, তবে এই শুল্ক এড়ানো সম্ভব। তবে, এমনটা করা বেশ কঠিন। এমনকি, ইলেকট্রিক গাড়ির কোম্পানি টেসলাও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক শুল্ক তাদের ব্যবসায় ক্ষতি করতে পারে।
ছোট ব্যবসার ওপরও এই শুল্কের সরাসরি প্রভাব পড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, কারুশিল্প প্রস্তুতকারকদের ব্যবসা, যারা মূলত ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করে পণ্য তৈরি করে, তারাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
তবে, বাণিজ্য যুদ্ধ কেবল শুল্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। এটি দ্রুতই একটি বৃহত্তর প্রতিশোধের দিকে এগোচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্প এমন একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গর্তে নিজেকে ফেলছেন, যা থেকে বের হওয়া তাঁর জন্য কঠিন হতে পারে।
অন্যদিকে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ব্রাসেলসে বৈঠকে মিলিত হতে চলেছেন। এর আগে, ইউক্রেন একটি মার্কিন-মধ্যস্থতা করা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল, যা বর্তমানে রাশিয়া বিবেচনা করছে।
মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, নাসা নভোচারী জনি কিম আগামী ৮ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি মিশনে অংশ নিতে যাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ট্রাম্পের নীতিগুলি আমেরিকার অর্থনীতিতে ইতিমধ্যে প্রভাব ফেলেছে।
এছাড়াও, বিনোদন ও খেলাধুলার জগতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রয়েছে। আইহার্ট রেডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন জনপ্রিয় শিল্পী পারফর্ম করবেন। সিনেমা এবং টিভি সিরিজের জগতে নতুন কিছু কাজ দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে, বাস্কেটবল টুর্নামেন্টের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খবর আসছে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন