বিখ্যাত ক্রীড়া ভাষ্যকার ডিক ভাইটেল, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ইএসপিএনের হয়ে বাস্কেটবল খেলার ধারাভাষ্য দেন, সম্প্রতি ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। আটাত্তর বছর বয়সী এই ধারাভাষ্যকার আটলান্টিক কোস্ট কনফারেন্স (ACC) চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা সম্প্রচার করার সময় তার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
খেলায় শীর্ষ র্যাঙ্কিং-এ থাকা ডিউক ইউনিভার্সিটি ১৩ নম্বর স্থানে থাকা লুইসভিলের বিরুদ্ধে ৭৩-৬২ পয়েন্টে জয়লাভ করে।
ডিসেম্বর মাসে ভাইটেল ঘোষণা করেন যে তিনি ক্যান্সার মুক্ত হয়েছেন। গত তিন বছরের বেশি সময়ে এটি ছিল তার চতুর্থ ক্যান্সার-যুদ্ধ।
খেলার ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়, সহ-ভাষ্যকার ডেভ ও’ব্রায়েন এবং করি আলেকজান্ডারের মাঝে বসে তিনি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলেন, “আপনাদের সঙ্গে এখানে বসে থাকাটা আমার কাছে একটা অলৌকিক ঘটনার মতো।
আপনারা আমার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। গত তিন বছর ছিল খুবই কঠিন। ক্যান্সারের সঙ্গে চারটি যুদ্ধ! আমি চাই না, কেউই এই পরিস্থিতির শিকার হোক। ক্যান্সার খুবই যন্ত্রণাদায়ক।”
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ের কারণে খেলায় ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ভাইটেলের কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন এসেছে, তবে তার পরিচিত প্রাণবন্ততা এখনো অটুট রয়েছে।
সম্প্রচারের সময় তিনি বলেন, “এটাই আমার এই বছরের শেষ খেলা। আমি প্রার্থনা করি, আগামী বছর যেন আরও ভালোভাবে ফিরে আসতে পারি।
আমি আশা করি এবং প্রার্থনা করি, আমার ডাক্তার আমার কণ্ঠস্বর স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবেন।”
গত গ্রীষ্মে ভাইটেলের ঘাড় থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত লিম্ফ নোড অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।
এর আগে তিনি মেলানোমা ও লিম্ফোমার চিকিৎসা করিয়েছেন এবং গত বছর কণ্ঠনালীর ক্যান্সারের জন্য রেডিওথেরাপিও নিয়েছেন।
বাস্কেটবলের এই কিংবদন্তি খেলোয়াড় ১৯৭৯ সাল থেকে ইএসপিএনের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
তিনি ইএসপিএনের প্রথম কলেজ বাস্কেটবল খেলার ধারাভাষ্যও দিয়েছিলেন।
শুধু তাই নয়, ভাইটেল দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার গবেষণার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন।
১৯৯৩ সালে তিনি বন্ধু জিম ভালভানোকে ‘ইএসপিওয়াই অ্যাওয়ার্ড’-এর মঞ্চে সাহায্য করেছিলেন, যেখানে ভালভানো তার বিখ্যাত ‘ডোন্ট গিভ আপ’ বক্তৃতা দেন।
ভালভানো বক্তৃতা দেওয়ার দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে অ্যাডেনোকার্সিনোমা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তথ্য সূত্র: সিএনএন