মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে গত কয়েক মাসে বেশ অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতি এবং বিভিন্ন সময়ে দেওয়া তার বক্তব্যের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
এমন পরিস্থিতিতে, ট্রাম্পের কিছু সমর্থক মনে করছেন, তিনি সম্ভবত ইচ্ছাকৃতভাবে শেয়ার বাজারকে ‘ধ্বংস’ করতে চাইছেন। তবে এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
শেয়ার বাজারের এই অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, ট্রাম্প সম্ভবত দেশটির বিশাল ঋণের বোঝা কমানোর জন্য সুদের হার কমানোর চেষ্টা করছেন।
তাদের ধারণা, সুদের হার কম হলে সরকারের ঋণ পরিশোধের খরচ কমবে। বর্তমানে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৯০০ লক্ষ কোটি টাকার সমান)।
এই বিশাল ঋণের সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে দেশটির সরকারের বছরে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হচ্ছে।
অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করেন, ট্রাম্প সম্ভবত বাজারকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিচে নামিয়ে নিজের এবং তার সমর্থকদের জন্য সুবিধা তৈরি করতে চাইছেন। তাদের যুক্তি হলো, বাজার কমলে ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা ‘শেয়ার কিনে’ পরে বাজার ভালো হলে তা বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।
তাদের মতে, এর মাধ্যমে ট্রাম্প তার ‘ধনী বন্ধুদের’ আরও ধনী করতে চাইছেন।
তবে, এসব তত্ত্বের বিপরীতে অনেকে বলছেন, বাজারের এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে পরিবর্তনের কারণে এমনটা হচ্ছে।
কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বাজারের এই উত্থান-পতন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এবং এটি বাজারের অতিরিক্ত মূল্যায়নকে নির্দেশ করে। তারা আরও বলছেন, বাজারের এই অবস্থা ট্রাম্পের ইচ্ছাকৃত কোনো পদক্ষেপের ফল নয়।
শেয়ার বাজারের এই উত্থান-পতন বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির যেকোনো পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারের গতিপ্রকৃতি বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা