গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত অন্তত ৪০৪ জন, আহত ৫ শতাধিক।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার নতুন করে শুরু হওয়া ঘটনায় গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) ভোরে চালানো এই হামলায় অন্তত ৪০৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৫৬২ জন।
পবিত্র রমজান মাসের মধ্যে হওয়া এই হামলা গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনার সম্ভবনাকে আবারও কঠিন করে তুলেছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর গাজার আবাসিক এলাকাগুলোতে বোমা হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাও অনেক।
যারা যুদ্ধ বিরতির পর ভেঙে যাওয়া ঘরবাড়িতে ফিরে এসেছিলেন, তাদেরকেই মূলত হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
গাজার পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি হামলায় পুরো এলাকা জুড়ে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার হাসপাতালগুলোতে আহতদের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে।
পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে অনেক আহত রোগীর চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।
আল-আহলি হাসপাতাল এবং আল-শিফা হাসপাতালে আহতদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। হাসপাতালগুলোতে গুরুতর আহত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জরুরি ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আহতদের জন্য প্রয়োজনীয় গজ ও ব্যথানাশক ঔষধের অভাব রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে রক্ত প্রয়োজন। কিন্তু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারছে না।
ফলে, সেখানকার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সামগ্রীর সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, পর্যাপ্ত জ্বালানির অভাবে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। গাজার অধিবাসীরা শেষ পর্যন্ত রমজানের দিনগুলো অন্তত শান্তিপূর্ণভাবে কাটানোর আশা করেছিলেন, কিন্তু পরিস্থিতি তাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য স্থানীয়রা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা।