যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা জটিলতার কারণে আটক হওয়া এক ব্রিটিশ তরুণীকে অবশেষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ২৮ বছর বয়সী রেবেকা বার্ক নামের ওই তরুণী একজন গ্রাফিক শিল্পী।
তিনি গত তিন সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ডিটেনশন সেন্টারে ছিলেন। রেবেকার পরিবার জানিয়েছে, তাকে মুক্তি দেওয়ার পর তারা আশা করছেন তিনি দ্রুতই দেশে ফিরবেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন রেবেকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় যেতে চাইছিলেন। কিন্তু কানাডার সীমান্তরক্ষীরা তাকে প্রবেশ করতে দেয়নি।
এরপর তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গিয়ে নতুন কাগজপত্র তৈরি করতে বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে পুনরায় প্রবেশের সময় বিমানবন্দরের কর্মীরা তাকে আটক করে এবং একটি সেলে বন্দী করে।
পরে তাকে টেকোমা নর্থওয়েস্ট ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়।
রেবেকার বাবা পল বার্ক আগে জানিয়েছিলেন, তার মেয়েকে ‘ভয়ংকর পরিবেশে’ রাখা হয়েছে এবং সেখানে তার কোনো আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ ছিল না।
মঙ্গলবার তিনি জানান, তারা এখন মেয়ের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় আছেন। পল বার্ক বলেন, “আমরা আশা করছি সে ফিরছে।
যদিও আমরা নিশ্চিত নই। কারণ গতকাল বিকেলে তাকে ডিটেনশন সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তবে তার ফোন কেড়ে নেওয়ায় আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।” তিনি আরও জানান, এই ঘটনার পর পরিবারের সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, রেবেকা যুক্তরাষ্ট্রে একটি পরিবারের সঙ্গে থাকার পরিকল্পনা করছিলেন এবং সেখানে গৃহস্থালীর কিছু কাজ করে থাকার বিনিময়ে তিনি তাদের সঙ্গে থাকতেন।
কর্তৃপক্ষের ধারণা, সম্ভবত তিনি টুরিস্ট ভিসার পরিবর্তে ওয়ার্কিং ভিসার জন্য আবেদন করতে পারতেন। এর আগে, তিনি নিউইয়র্কে কিছু দিন কাটিয়েছিলেন এবং সেখানেও একটি পরিবারের সঙ্গে একই রকম ব্যবস্থায় ছিলেন।
রেবেকার পরিবার তার আইনি খরচ, থাকা-খাওয়ার খরচ এবং দেশে ফেরার টিকিটের জন্য অনলাইনে প্রায় ১০ হাজার পাউন্ড (যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩ লাখ টাকার সমান) সংগ্রহ করেছেন।
অতিরিক্ত অর্থ থাকলে তা সিয়াটলের বিভিন্ন সংস্থায় দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যারা একই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়া মানুষের সাহায্য করে থাকে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান