মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মওরিতসিও পচেত্তিনো জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের এক নম্বর ফুটবল দল হতে পারে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল আসরটি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো – এই তিনটি দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পচেত্তিনো মনে করেন, এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে দেশটিতে ফুটবল খেলার প্রসারে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে এখন ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা বাড়ছে, যা আগে দেখা যেত না। এখানকার খেলোয়াড়রা এখন ফুটবলকে পেশা হিসেবে নিতে আগ্রহী হচ্ছে।”
সাক্ষাৎকারে পচেত্তিনো আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশন (ইউএস সকার) ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে আটলান্টায় একটি অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করতে যাচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হওয়ার পর ফুটবল “এখানে একটি গুরুত্বপূর্ন ক্রীড়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।”
পচেত্তিনো মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে লিওনেল মেসির উপস্থিতি একটি বড় বিষয়। তিনি বলেন, “মেসির মতো খেলোয়াড় আসার ফলে এখানকার ফুটবল আরও জনপ্রিয় হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক।”
আর্জেন্টিনার এই কোচের মতে, ফুটবল বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাবনা অনেক। তিনি বলেন, “বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল দল সেভাবে পরিচিত না হলেও, এখানকার খেলোয়াড়দের মধ্যে ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ পেলে তারা দ্রুত উন্নতি করতে পারবে।”
পচেত্তিনো এর আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার ও চেলসির কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। টটেনহ্যামের হয়ে ভালো ফল করলেও কোনো শিরোপা জিততে পারেননি তিনি।
সম্প্রতি তিনি জানান, টটেনহ্যামে ফিরে গিয়ে ক্লাবটির হয়ে শিরোপা জেতার স্বপ্ন তার এখনো রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার আগে পচেত্তিনোকে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচের পদে দেখা যেতে পারে এমন গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সেই প্রস্তাব পাননি।
ফুটবল বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থান এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করেন পচেত্তিনো। তার মতে, “যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড়রা তাদের সম্ভাবনা প্রমাণ করতে পারলে, ফুটবল বিশ্বে দেশটি খুব দ্রুতই নিজেদের জায়গা করে নেবে।”
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান