আর্টের মূল আকর্ষণ : ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম সুন্দর সমুদ্র সৈকত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে আরুবার ঈগল বিচ। ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইট ট্রিপঅ্যাডভাইসর-এর ২০২৩ সালের ভ্রমণকারীদের পছন্দের সেরা সৈকত পুরস্কারে এই বিচ শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে।
যারা শান্ত সমুদ্র, সাদা বালু এবং স্বচ্ছ জলের সন্ধান করেন, তাদের জন্য এই বিচ একটি আদর্শ স্থান।
ঈগল বিচের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
সাদা বালুকাময় সমুদ্র সৈকত, স্বচ্ছ নীল জল এবং শান্ত পরিবেশ ঈগল বিচকে বিশেষ করে তোলে। এখানকার বালি পাথরের পরিবর্তে প্রবাল দিয়ে গঠিত হওয়ায় সূর্যের তাপে খুব বেশি গরম হয় না।
ফলে খালি পায়ে হেঁটে বেড়ানো যায়। স্বচ্ছ, নীল জল এতটাই পরিষ্কার যে, এর মধ্যে কোনো রকম শৈবাল বা জেলিফিশ দেখা যায় না।
অগভীর পানিতে ছোট মাছ থাকায় এটি শিশুদের জন্যেও দারুণ একটি জায়গা। এখানকার সমুদ্রের জল সবসময় হালকা গরম থাকে, যা সাঁতার কাটার জন্য উপযুক্ত।
এছাড়াও, এই সমুদ্র সৈকতের অন্যতম আকর্ষণ হলো এখানকার বিখ্যাত ‘ফওফোটি’ গাছ। আরুবার স্থানীয় এই গাছের বাঁকানো কাণ্ড পর্যটকদের কাছে দারুণ প্রিয়।
পর্যটকদের অভিজ্ঞতা:
ঈগল বিচ সম্পর্কে পর্যটকদের অভিজ্ঞতাও বেশ চমৎকার। অনেকেই জানিয়েছেন, এখানে সমুদ্রের ধারে হেঁটে বেড়ানোটা বিশেষ একটা অনুভূতি দেয়।
বিশেষ করে ‘ফওফোটি’ গাছের দৃশ্য মন জয় করে নেয়।
ভ্রমণের উপযুক্ত সময়:
ঈগল বিচের সেরা অভিজ্ঞতা পেতে এপ্রিল থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে ভ্রমণ করা ভালো। এই সময়ে আবহাওয়া চমৎকার থাকে এবং পর্যটকদের ভিড়ও তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
অন্যান্য সুবিধা:
এখানে বিনামূল্যে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও, জনসাধারণের জন্য বিশ্রামাগার এবং সমুদ্রের কড়া রোদ থেকে বাঁচতে শেডের ব্যবস্থাও রয়েছে।
তবে, সমুদ্র সৈকতে চেয়ার ভাড়ার খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে, যা দুটি চেয়ারের জন্য প্রায় ৫,৫০০ টাকার (বাংলাদেশি মুদ্রা) সমান।
যদি আপনি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের অন্য কোন সুন্দর সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে ট্রিপঅ্যাডভাইসরের ওয়েবসাইটে চোখ রাখতে পারেন।
সেখানে সেরা দশটি সমুদ্র সৈকতের তালিকা দেওয়া আছে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার