মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত অঞ্চলে সামরিকীকরণের পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেক্সিকো সীমান্ত সংলগ্ন নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে সৈন্যদের মোতায়েন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেখানে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা অভিবাসীদের আটক করার ক্ষমতা তাদের থাকবে।
এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হলো, সৈন্যদের একটি বিশাল সামরিক ঘাঁটি তৈরি করা এবং এর মাধ্যমে ‘পসে কমিট্যাটাস অ্যাক্ট’ নামক একটি ফেডারেল আইনকে পাশ কাটানো। এই আইনটি সাধারণত সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক আইন প্রয়োগের কাজে জড়িত হতে বাধা দেয়। যদিও সীমান্তকে সামরিকীকরণের দাবি নতুন নয়, তবে অতীতে এমন প্রস্তাব রাজনৈতিক বাগাড়ম্বরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বৈঠকে ঘোষণা করেছিলেন যে, সামরিক বাহিনী সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব নেবে। তবে এই ঘোষণা বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে অভিবাসী ‘বহর’-এর (migrant caravan) বিষয়টি সামনে আসার পর তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস সৈন্যদের উপস্থিতি সীমিত রাখার পক্ষে যুক্তি দেন।
অন্যদিকে, ২০২০ সালে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর ট্রাম্প ১০ হাজার সক্রিয় সেনাকে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায় নামিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে চেয়েছিলেন। তবে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার সেই নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেন।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে, ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সহজ হতে পারে। কারণ, বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী অতীতে সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন না। ফলে, সামরিক বাহিনীকে অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার আপত্তি করার সম্ভাবনা কম। এই সামরিকীকরণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে, তা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং অভিবাসন নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান