ইউক্রেন শান্তি চুক্তি লঙ্ঘিত হলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার। যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক এক বৈঠকে পশ্চিমা সামরিক পরিকল্পনাকারীরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
বৈঠকে স্টারমার জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেনকে নিজেদের রক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। রাশিয়ার পক্ষ থেকে দেশটির সামরিক শক্তি কমানোর যে দাবি জানানো হয়েছে, সেটিও তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, মিত্র দেশগুলো ইউক্রেনীয় সেনাদের সাহায্য করবে, তবে তাদের স্থলে সরাসরি সেনা মোতায়েন করা হবে না। স্থল, নৌ এবং আকাশ পথে এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
উত্তর লন্ডনের সামরিক ঘাঁটিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ৩১টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ফ্রান্স, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোও ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইতালির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি স্টারমারের পরিকল্পনাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও অকার্যকর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হোয়াইট হাউস এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনে পশ্চিমা সামরিক বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনা চলছে। আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই সৌদি আরবে এই বিষয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে জ্বালানি অবকাঠামোতে আক্রমণের বিষয়ে ৩০ দিনের একটি বিরতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বৈঠকে স্টারমার বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। তবে প্রথমে যুদ্ধবিরতি এবং পরে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সে কারণে, আমরা উভয় পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর আগে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি দীর্ঘ ফোন conversation হয়।
ওই ফোনালাপে পুতিন ইউক্রেনকে সামরিকীকরণ বন্ধ করার এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে সামরিক সহায়তা দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। স্টারমার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, পুতিন ইউক্রেনকে দুর্বল দেখতে চান।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মনে করি ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। কোনো দেশের ওপর আক্রমণ হলে, সেই দেশের আত্মরক্ষার অধিকার থাকে।
২০১৪ সালে মিনস্কে এমনটা ঘটেছিল এবং রাশিয়া সেই চুক্তি ভেঙেছিল। তাই, আমরা ইউক্রেনকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করছি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান