যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের ওডেসায় আবারও রুশ হামলা, শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা কতটুকু?
ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী ওডেসায় সম্প্রতি রাশিয়া ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যা যুদ্ধের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বৃহস্পতিবারের এই হামলায় শহরটিতে আগুন ধরে যায় এবং অন্তত তিনজন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আবাসিক ভবন ও একটি শপিং সেন্টার এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভালোভাবেই এগোচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী সোমবার সৌদি আরবে উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতেও উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের একটি দলও এই আলোচনায় অংশ নেবে।
তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘অযৌক্তিক দাবি’ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, যা কেবল যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করবে।
তবে হামলার পরেই জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া ইতোমধ্যেই তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। তিনি জানান, রাশিয়া ১৫0টির বেশি ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে জ্বালানি কেন্দ্রগুলোও রয়েছে।
জেলেনস্কি আরও বলেছেন, তিনি রাশিয়ার জ্বালানি ও বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ করতে প্রস্তুত আছেন।
এদিকে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। তবে এর বিনিময়ে তারা বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিদেশি সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ বন্ধ করা, সেইসাথে ইউক্রেনের সেনা সমাবেশ ও অস্ত্র সংগ্রহ কার্যক্রমও বন্ধ করতে হবে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার অভ্যন্তরে একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ঘাঁটিটিতে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে এবং কাছাকাছি কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, তারা এ হামলার জন্য দায়ী। তাদের দাবি, বিমানঘাঁটিটি রাশিয়া ইউক্রেনের বেসামরিক জনগণের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কাজে ব্যবহার করে।
যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে খাদ্যপণ্যের দাম। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের বাজারেও।
আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দেওয়ায় দেশের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্য সূত্র: সিএনএন