যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সত্ত্বেও ওডেসায় রাশিয়ার ড্রোন হামলা, উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। ইউক্রেনের বন্দর নগরী ওডেসায় রাশিয়ার লাগাতার ড্রোন হামলায় সেখানকার পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি আংশিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এলেও, তা কার্যত কার্যকরের আগেই রাশিয়ার এই হামলা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
রাশিয়ার ছোড়া ড্রোনগুলো আবাসিক ভবন, শপিং সেন্টার এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে আঘাত হানে। হামলার সময় চেক প্রেসিডেন্ট পেত্র পাভেলও ওডেসায় অবস্থান করছিলেন।
স্থানীয় গভর্নর ওলেহ কিপার জানিয়েছেন, রাশিয়ার সেনারা ওডেসা অঞ্চলের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উভয় দেশের নেতাদের আলোচনার পর রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি সীমিত যুদ্ধবিরতিতে নীতিগতভাবে রাজি হয়েছিল।
তবে, এই যুদ্ধবিরতি কিভাবে কার্যকর হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে উভয়পক্ষ আলাদাভাবে আলোচনায় বসবে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের মধ্যেও উভয়পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা শুধুমাত্র জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু ইউক্রেন অন্যান্য স্থাপনায় আঘাত হানছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনও রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।
শুক্রবার, রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশ অনুযায়ী, তারা জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। কিন্তু এর মধ্যেই ওডেসায় ড্রোন হামলা চালানো হয় এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের ওপর গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকে।
এছাড়াও, ইউক্রেন হয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহকারী একটি পাম্পিং স্টেশনে আগুন লাগে, যার জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরকে দায়ী করছে।
রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন এই স্টেশনে হামলা চালিয়েছে, আর ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া নিজেরাই এই স্টেশনে হামলা চালিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে জানা যায়, রাশিয়ার এই পদক্ষেপের ফলে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান