আজকের খাদ্যরসিকদের জন্য একটি বিশেষ রেসিপি নিয়ে এসেছি। খাদ্য লেখক বেনজামিনা এবুয়েহির তৈরি করা একটি অসাধারণ ডেজার্ট, যা তৈরি করা খুবই সহজ, আর এর স্বাদও একেবারে ভিন্ন।
এটি হলো “মিসো এবং ব্রাউন বাটার রাইস ক্রিস্পিজ বার”। নামটা শুনে হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত মনে হতে পারে, তবে এর স্বাদ সত্যিই অসাধারণ।
এই রেসিপিটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর মিষ্টি ও নোনতা স্বাদের মিশ্রণ। রাইস ক্রিস্পিজ বার সাধারণত শিশুদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার, তবে এই রেসিপিতে মিসো এবং ব্রাউন বাটারের ব্যবহার এটিকে একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।
এটি তৈরি করতে আপনার খুব বেশি সময় লাগবে না, এবং হাতের কাছে থাকা কয়েকটি উপকরণ দিয়েই এটি তৈরি করা সম্ভব।
উপকরণ:
এইবার আসুন, কিভাবে বানাবেন সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক: প্রথমে, একটি ২৫ সেন্টিমিটার বর্গাকার বেকিং টিনের ভিতরে বেকিং পেপার বিছিয়ে নিন, যাতে বারগুলো সহজে তোলা যায়।
এরপর একটি বড় পাত্রে রাইস ক্রিস্পিজ নিয়ে রাখুন।
একটি বড় সসপ্যানে বাটার নিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করুন। বাটার সোনালি বাদামী হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, যতক্ষণ না সুন্দর গন্ধ বের হয়।
এরপর সঙ্গে সঙ্গে মার্শম্যালো যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না এটি গলে যায়। এরপরে মিসো এবং লবণ মিশিয়ে নিন।
ভালোভাবে মিশে গেলে, মার্শম্যালের মিশ্রণটি রাইস ক্রিস্পিজের উপর ঢেলে দিন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যাতে প্রতিটি ক্রিস্পিজ মিশ্রণে ঢেকে যায়।
মিশ্রণটি বেকিং টিনে ঢেলে নিন এবং একটি চামচ দিয়ে সমানভাবে চেপে দিন। এরপর অন্তত আধা ঘণ্টার জন্য ঠাণ্ডা হতে দিন, যাতে এটি শক্ত হয়ে যায়।
বারগুলো শক্ত হয়ে গেলে কেটে পরিবেশন করুন অথবা একটি এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
এই রেসিপিটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি তৈরি করা খুবই সহজ এবং এতে কোনো বেকিং-এর প্রয়োজন নেই। গরমের দিনে যখন ওভেন ব্যবহারের সুযোগ কম থাকে, তখন এই রেসিপিটি আপনার জন্য আদর্শ।
মিসো এবং ব্রাউন বাটারের মিশ্রণ এই বারগুলোকে একটি আকর্ষণীয় স্বাদ দেয়, যা একবার খেলে সহজে ভুলতে পারবেন না।
যদি আপনি এই রেসিপিটি তৈরি করতে চান, তবে সাদা মিসো (fermented soybean paste) খুঁজে বের করতে পারেন। এটি সাধারণত বিশেষ মুদি দোকান অথবা অনলাইনে পাওয়া যায়।
বাজারে রাইস ক্রিস্পিজ নাও পাওয়া যেতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনি চিঁড়ে ব্যবহার করতে পারেন, তবে স্বাদে সামান্য পরিবর্তন হবে।
এই রেসিপিটি খাদ্য লেখক বেনজামিনা এবুয়েহির থেকে অনুপ্রাণিত।
তথ্য সূত্র: The Guardian