লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হওয়ায় বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে, হাজার হাজার যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশিও রয়েছেন।
শুক্রবার সাধারণত ভ্রমণের ব্যস্ততম দিন, কারণ ব্যবসায়িক সফর থেকে ফেরার সময় অথবা ছুটির জন্য মানুষজন যাত্রা করেন। এই পরিস্থিতিতে, হিথরোর এই আকস্মিক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক যাত্রী তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না।
হিথরো বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে প্রতি বছর বহু বাংলাদেশি যাত্রী যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় যাতায়াত করেন।
বিমানবন্দরের এই পরিস্থিতিতে ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হওয়ায় যাত্রীদের অধিকার সম্পর্কে জানা জরুরি।
যদি আপনার ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়, তবে আপনি হয় দ্রুত বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে পারবেন, অথবা টিকিটের সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত পেতে পারেন। যদি আপনি যুক্তরাজ্যের বাইরে কোনো এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে ফিরছিলেন, তাহলে আপনার টিকিটের শর্তাবলী ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত।
এছাড়া, বিমানবন্দরে আটকে পড়লে, আপনার খাবার, ফোন করার সুযোগ এবং প্রয়োজনে থাকার ব্যবস্থা করার অধিকার রয়েছে। যদি আপনার ফ্লাইট পরের দিন বা তারও পরে বিলম্বিত হয়, তবে এয়ারলাইন্স আপনাকে থাকা ও গন্তব্যে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেবে।
এই পরিস্থিতিতে, ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। যদি এয়ারলাইন্সের গাফিলতির কারণে ফ্লাইট বাতিল হয়, তবে ক্ষতিপূরণের সম্ভাবনা থাকে।
তবে, অগ্নিকাণ্ডের মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে ফ্লাইট বাতিল হলে সাধারণত ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না।
প্যাকেজ ট্যুরের ক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায়। যদি আপনার প্যাকেজ ট্যুর বাতিল হয়, অথবা ভ্রমণের সময়সূচীতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে, তাহলে ভ্রমণ সংস্থা আপনাকে বিকল্প ভ্রমণের প্রস্তাব দিতে বাধ্য থাকবে অথবা প্যাকেজের পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে আপনার ভ্রমণ বীমা (Travel Insurance) কভারেজ আছে কিনা, তা পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। ফ্লাইট বাতিলের কারণে যদি আপনি নতুন ফ্লাইট বুক করতে বা অন্য কোনো জরুরি খরচ করতে বাধ্য হন, তাহলে বীমা সেই খরচ বহন করতে পারে।
আপনার বীমা পলিসিতে এই ধরনের ক্ষতির জন্য কোনো কভারেজ আছে কিনা, তা ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত।
এই পরিস্থিতিতে, হিথরো বিমানবন্দরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপ-টু-ডেট থাকার জন্য এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ রাখা এবং তাদের পরামর্শ অনুসরণ করা জরুরি।
জরুরি প্রয়োজনে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন অথবা দূতাবাসেও যোগাযোগ করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান