হিটরোর বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের জেরে বিমান চলাচল ব্যাহত, যাত্রী ভোগান্তি চরমে
লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে একটি সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে, হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন এবং অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বিদ্যুতের অভাবে বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে বিমান চলাচল ব্যবস্থায় এক ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
ইউরোপের বৃহত্তম এই বিমানবন্দরটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সংযোগ স্থাপন করে থাকে। বিশেষ করে, আমেরিকা মহাদেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে হিথরোর গুরুত্ব অপরিসীম।
ফলে, এই বিমানবন্দরে কোনো ধরনের বিপর্যয় ঘটলে তা বিশ্বজুড়ে বিমান চলাচলে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতে, অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিমানবন্দরের ব্যাকআপ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণে প্রায় আড়াই লক্ষ আন্তর্জাতিক যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেক বিমানকে গন্তব্যের দিকে যেতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চলছে এবং খুব দ্রুতই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এই ঘটনার জেরে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটগুলোর শিডিউল পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে, যাত্রীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এবং অনেকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না।
ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ এবং বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিথরোর মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিমানবন্দরে এ ধরনের ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং অবকাঠামোগত ত্রুটিগুলো সামনে নিয়ে আসে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে জরুরি ভিত্তিতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিকায়ন এবং ব্যাকআপ সিস্টেমের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া উচিত।
এই ঘটনার কারণে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বা বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য হিথরো হয়ে চলাচলকারী বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি যাত্রীও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকের ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, আবার অনেককে দীর্ঘ সময় ধরে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বিশেষ করে, যারা জরুরি প্রয়োজনে বা ব্যবসার কাজে যুক্তরাজ্যে যেতে চাচ্ছিলেন, তাদের জন্য এই পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগের কারণ হয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান