সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ: কতটা নির্ভরযোগ্য?
আজকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিনোদন থেকে শুরু করে, খবর, বন্ধুত্বের সম্পর্ক – সবকিছুই যেন এর মাধ্যমে হাতের মুঠোয়।
স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শের ছড়াছড়ি, যেখানে সুস্থ থাকার নানান উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু এই বিপুল তথ্যের ভিড়ে কোনটা সঠিক, আর কোনটা ভুল, তা বোঝা বেশ কঠিন।
অনেক সময় এমন সব পরামর্শ দেওয়া হয়, যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত স্বাস্থ্য বিষয়ক সব তথ্যের উপর চোখ বুজে ভরসা করা ঠিক নয়। অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি বা ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ আছেন, যারা বিভিন্ন পণ্য বা চিকিৎসার প্রচার করেন।
তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে পণ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা। ফলে তাঁরা যা বলছেন, তার পেছনে ব্যবসায়িক স্বার্থ থাকতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা এমন সব জিনিসের প্রচার করেন, যেগুলোর স্বাস্থ্য উপকারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
উদাহরণস্বরূপ, ওজন কমানোর জন্য ভেষজ চা বা খাদ্য পরিপূরক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়, যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
এছাড়াও, কিছু ওয়েবসাইটে চিকিৎসার নামে এমন সব পদ্ধতির কথা বলা হয়, যা আদৌ বিজ্ঞানসম্মত নয়। ভিটামিন ইনজেকশন বা বিশেষ ডায়েটের মতো বিষয়গুলো এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।
এইসব তথ্যের সত্যতা যাচাই করা জরুরি।
তাহলে, সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করবেন কীভাবে?
১. সতর্ক হোন পণ্যের প্রচার দেখলে:
২. বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:
৩. চিকিৎসা বিষয়ক তথ্যের সত্যতা যাচাই করুন:
৪. প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে তুলনা করুন:
মনে রাখবেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের ক্ষেত্রে সব সময় সচেতন থাকা জরুরি। সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস