বিশ্বের সুখী দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে ২০২৩ সালের বিশ্ব সুখ প্রতিবেদন। টানা আট বছর ধরে শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে ফিনল্যান্ড। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর ২০শে মার্চ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এবারের প্রতিবেদনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে, যা আমাদের সকলের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ফিনল্যান্ড এখনো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ। এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও সুইডেন। সাধারণত, জীবনযাত্রার মান, সামাজিক নিরাপত্তা এবং ভালো স্বাস্থ্যখাত- এই বিষয়গুলোর কারণে নর্ডিক দেশগুলো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবার ২৪ নম্বরে, যা তাদের জন্য সর্বনিম্ন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সুখের অভাব দেখা যাচ্ছে।
বন্ধু এবং পরিবারের কাছ থেকে কম সমর্থন পাওয়া, জীবনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীনতা কম থাকা এবং জীবনযাত্রার মান নিয়ে কম আশাবাদী হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে এই প্রবণতা বাড়ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং সামাজিক সমর্থন সুখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল, তাদের মধ্যে সুখের অনুভূতি বেশি থাকে।
এই তালিকায় শীর্ষ দশের অন্য দেশগুলো হলো নেদারল্যান্ডস, কোস্টারিকা, নরওয়ে, ইসরায়েল, লুক্সেমবার্গ এবং মেক্সিকো।
সুখ পরিমাপের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে মাথাপিছু জিডিপি, সামাজিক সমর্থন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রত্যাশা, স্বাধীনতা, উদারতা এবং দুর্নীতির ধারণা।
প্রতিবেদনে আফগানিস্তানকে সবচেয়ে কম সুখী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও তালিকায় একেবারে নিচে রয়েছে সিয়েরা লিওন, লেবানন, মালাউই এবং জিম্বাবুয়ে।
প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং তাদের সুখের কারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে। মানুষের ভালো থাকার জন্য সামাজিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সুস্থ জীবনযাত্রা কতটা জরুরি, এই প্রতিবেদনটি তারই একটি চিত্র।
তথ্য সূত্র: সিএনএন